
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পোশাকে ছিল না অতিরিক্ত নাটকীয়তা, ছিল না চেনা ধাঁচের গ্ল্যামার—বরং ছিল পরিমিত সৌন্দর্য, আধুনিক ভাবনা আর ভারতীয় পোশাকের নতুন ধারণা।

এই লুকে প্রিয়াঙ্কার পরনে ছিল ডিজাইনার অর্পিতা মেহতার কাস্টম ফিউশন শাড়ি, যা প্রচলিত শাড়ির ধারণাকেই একটু উল্টে দিয়েছে। এখানে মূল আকর্ষণ একটি স্ট্রাকচার্ড করসেট—আইভরি বেসে নীল রঙের নরম বোটানিক্যাল প্রিন্ট। সুইটহার্ট নেকলাইন ও হালকা পেপলম কাট করসেটটিকে দিয়েছে আধুনিক, শার্প সিলুয়েট, অথচ রং ও নকশায় রয়েছে ভারতীয় টেক্সটাইলের পরিচিত কোমলতা।

কর্সেটের নিচ থেকে শুরু হওয়া শাড়ির স্কার্ট অংশটি রেখেছে স্বাভাবিক ফ্লো ও মুভমেন্ট। প্রচলিত ড্রেপিং বাদ দিয়ে এই নকশা একদিকে যেমন চলাফেরায় স্বচ্ছন্দ, অন্যদিকে তেমনি ধরে রাখে শাড়ির দৃশ্যমান ছন্দ।

স্টাইলিস্ট অ্যামি প্যাটেলের হাত ধরে পুরো লুকটি পেয়েছে নীরব অথচ আত্মবিশ্বাসী একটি ফিনিশ। গয়নায় প্রিয়াঙ্কা বেছে নিয়েছেন সিলভার বুলগারি ভাইপার ইয়াররিং ও ব্রেসলেট—যা ফুলেল প্রিন্টের নরম ভাবের সঙ্গে তৈরি করেছে এক পরিশীলিত কনট্রাস্ট।

মেকআপ ও হেয়ারেও সেই একই দর্শন। হালকা ডিফাইন্ড চোখ, সফট পিঙ্ক লিপ আর সাইড-পার্টেড ভলিউমিনাস ব্লোআউট—সবকিছু মিলিয়ে লুকটি ছিল রোমান্টিক ও মিনিমাল। এখানে সৌন্দর্যের লক্ষ্য ছিল পোশাককে ছাপিয়ে যাওয়া নয়, বরং তার গঠন ও ভাবনাকে সামনে আনা।

এই উপস্থিতির সবচেয়ে বড় শক্তি লুকের স্পষ্ট ধারণায়। এটি এমন একটি শাড়ি-অনুপ্রাণিত সিলুয়েট, যা ঐতিহ্যকে সম্মান করে, কিন্তু তার সীমারেখায় আবদ্ধ থাকে না। প্রিয়াঙ্কার এই লুক দেখিয়ে দেয়—ভারতীয় পোশাক হতে পারে ফ্লুইড, আধুনিক এবং ব্যক্তিগত স্টাইলের প্রতিফলন।

যখন আধুনিক ভারতীয় ফ্যাশন নতুন ফর্ম ও ফিউশন নিয়ে এগোচ্ছে, তখন অর্পিতা মেহতার এই ডিজাইন আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পরিমিত স্টাইলিং একসঙ্গে তৈরি করেছে এক বসন্তময় মুহূর্ত।
ছবি: প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ইনস্টাগ্রাম