জায়ান মালিককে নিয়ে হারপার'স বাজারে প্রকাশিত হয়েছে একটি চমৎকার কভার স্টোরি। সেখানে ৩১ বছর বয়সী সাবেক এই হার্টথ্রব নিজের ক্যারিয়ার, বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা এবং শহরের বাইরের জীবন নিয়ে কথা বলেন।
মে মাসে মুক্তি পেয়েছে জায়ান মালিকের চতুর্থ একক স্টুডিও অ্যালবাম ‘রুম আন্ডার দ্য স্টেয়ারস’। এর গানগুলো আরএন্ডবির জনরার সঙ্গে আমেরিকানা ও ফোক বা লোকগীতির সংমিশ্রণে তৈরি। অ্যালবামের মধ্য দিয়ে জায়ান মালিক তাঁর পাকিস্তানি শিকড়ের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। এর ১৫টি গানের মধ্যে ১২টি গানের কথাই তিনি নিজে লিখেছেন। গান লেখা ও গাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অনুপ্রেরণা জনপ্রিয় পপ সংগীতশিল্পী ও গীতিকার সিয়া।
২০১০ সালে জায়ান মালিকের সংগতজীবন শুরু হয়। তখন ওয়ান ডিরেকশন বয় ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের চেয়ে তাঁর ক্রেজ ছিল অনেক বেশি। তিনি ছিলেন বিশ্বের পপ সংগীতপ্রেমী মিলেনিয়াল ও সে সময়ের কিশোরী–তরুণীদের ক্রাশ। অন্যদিকে ছেলেদের কাছে তিনি ছিলেন ফ্যাশন ও বিউটি আইকন। জায়ান মালিক যেভাবে হেয়ার কাট দিতেন, বেশির ভাগ ছেলেদের সেভাবে চুল কাটতে দেখা যেত। বহুদিন পর প্রিয় তারকার নতুন অ্যালবাম বের হওয়াতে ভক্তরা বেশ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের উচ্ছ্বাসের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে হারপার’স বাজার ইন্ডিয়ার কভার ফটো।
সেখানে জায়ান মালিককে দেখা গেছে ভারতীয় সেলিব্রিটিদের অন্যতম প্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার মডার্ন শেরওয়ানিতে। কভার ফটোতে তিনি পরেছেন নেভি ব্লু শেনিল শেরওয়ানি। এর পুরোটা জুড়ে সাদা সুতায় লতাপাতা এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। এই প্যাটার্নের অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানি দুর্গ ও প্রাসাদের স্থাপনা থেকে। শেরওয়ানিটির দাম অন্তত ছয় লাখ টাকার বেশি।
অন্য আরেকটি ছবিতে তিনি পরেছেন মোগল অনুপ্রাণিত বোটল গ্রিন ভেলভেটের বান্ধগালা স্যুট ও ম্যাচিং ভেলভেট প্যান্ট। এর সঙ্গে পায়ে পরেছেন ক্রিশ্চিয়ান লুবোটিনের শু। কভার স্টোরির জন্য তোলা তিন নম্বর ছবিতে জায়ান মালিককে দেখা গেছে ঝলমলে কালো ব্লেজার, শার্ট ও প্যান্টে। প্রতিটি লুকে তিনি অনুষঙ্গ হিসেবে পরেছেন স্টেটমেন্ট আংটি ও কানের দুল। সব আউটফিটে তাঁকে লাগছিল সুপার স্টাইলিশ।
বর্তমানে তিনি বাস করেন আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার অঙ্গরাজ্য বাকস কাউন্টিতে অবস্থিত একটি খামারবাড়িতে। মেয়ে খাই হাদিদ মালিকের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তিনি এখন সেখানে থাকছেন। কভার স্টোরিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেয়ে ও গানের পাশাপাশি নিজের স্টাইল নিয়েও অনেক কথা বলেছেন সাবেক এই ট্রেন্ডসেটার। জায়ান মালিক বলেন, ‘কোথা থেকে আমার পোশাক আসছে, এ নিয়ে আমি একদমই ভাবি না। যে পোশাকে আমাকে মানায়, আমি সেগুলো পরতে পছন্দ করি।’
তিনি পোশাকের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে উপভোগ করেন। জায়ান মালিক আরও জানান, যখনই তাঁর মন খারাপ হয় বা সময় ভালো যায় না, তখনই তিনি ফ্যাশনের দ্বারস্থ হন। বলেন, ‘যদি দিন খারাপ যায়, তাহলে ভালো বোধ করতে নিজেকে সাজাই।’ এরপরই একজন খাঁটি ফ্যাশন আইকনের মতোই বলেন, ‘ফ্যাশনকে যদি মন ভালো করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে কেন সেটা করব না?’ বোঝাই যাচ্ছে জায়ান মালিক শুধু সংগীতজগতে নন, ফ্যাশন দুনিয়াতেও ঝড় তুলতে আসছেন।