
পুরো দুনিয়ায় এখন সবচেয়ে আলোচিত কাপল নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি আর তাঁর স্ত্রী রমা দুয়াজি। ধুম মাচালে গানে বিজয়ী বক্তৃতার মঞ্চ মাতানো মামদানির সঙ্গে যোগ দেওয়া রমা হাতে হাত রেখেই নিউইয়র্ক জয় করেছেন স্বামীর সঙ্গে। তাঁরা এমনিতে বেশ প্রাইভেসি বজায় চলেন নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে। বেশ আধুনিক বলা যায় এই কাপলকে। তাঁদের দেখা হয়েছিল এক ডেটিং অ্যাপে। নাম হিঞ্জ। অত্যন্ত সুদর্শন আর শতকের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম নিউইয়র্ক মেয়র মামদানি আর শিল্পী রমার লাভস্টোরি নিয়ে এখন আগ্রহের শেষ নেই বিশ্ববাসীর।

সিরিয়ান আমেরিকান শিল্পী রমা এমনিতে দারুণ সুন্দরী আর ফ্যাশনিস্তা হলেও খুবই নিভৃতচারী। এদিকে মামদানি আবার চরম এক্ট্রোভার্ট। সেটা তাঁর ক্যাম্পেইনের ধরনেই বোঝা যায়। সব কমিউনিটিকে এক সুতায় গেঁথে ফেলেছেন তিনি। আর তাঁর এই ক্যারিজমা ও জাদুকরী পার্সোনালিটি যে রমাকে মুগ্ধ করেছে তা বলাইবাহুল্য।
কীভাবে দেখা হয়েছিল মামদানি আর রমার
২০২১ সালে হিঞ্জ ডেটিং অ্যাপেই প্রথম পরিচয় তাঁদের। বুলওয়ার্ক পডকাস্টে নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন মামদানি। গ্র্যান্ড পলিটিকাল রোমান্স হিসেবে শুরু হয়নি এই কাপলের লাভস্টোরি। মেসেজ আদান প্রদান হয়েছিল সেই অ্যাপেই। তারপর দেখা আর প্রেম। মজা করে মামদানি বলেন, আসলে এসব ডেটিং অ্যাপ কিন্তু বেশ কাজে দেয়।


রমা দুয়াজি আবার বেড়ে ওঠার একটা বড় সময় কাটিয়েছেন দুবাইয়ে। সেখানে আর্টস নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তিনি জন্মগতভাবে সিরিয়ান আমেরিকান। তবে এমনিতে তেমন কোনো মিল না থাকলেও খুব দ্রুতই এগোয় তাঁদের সম্পর্ক। সেসময় মামদানি মাত্র রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছিলেন। প্রথম দিকে গোপনই রেখেছিলেন তাঁরা এই সম্পর্ক। পরবর্তীতে মামদানির সঙ্গে নানা ইভেন্ট, রাজনৈতিক কর্মসূচীতে দেখা যায় রমাকে।
২০২৪ সালের অক্টোবরেই তাঁদের বাগদান হয়। আর মাত্র দুই মাস পরেই নিকাহ বা বিয়ে করেন তাঁরা। বিলাসবহুল দুবাই ওয়েডিং দিয়ে আলোচনায় আসেন এই পাওয়ার কাপল। ভিডা ক্রিক হারবারের রুফটপে , বুর্জ খলিফার ব্যাকগ্রাউন্ডে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল বেশ ব্যয়বহুল। এরপর তিনদিনের বিবাহ-পরবর্তী অনুষ্ঠান হয় মামদানির বাবার দেশ উগান্ডায়। এখানেই শেষ নয়, তারপর কোর্টহাউস সেরেমনি হয় নিউইয়র্কে।
রমা দুয়াজি আর জোহরান মামদানি একসঙ্গেই সকল স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান করেছেন। ক্যাম্পেইনের অনেক কিছুই রমার মস্তিষ্কপ্রসূত। বিভিন্ন সময়ে তাঁদেরকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। তবে নীরব থেকেও রমার স্মিত হাসি আর মামদানির প্রতি অনুরাগের চাহনি চোখ এড়ায় নি সকলের। তাঁদের এই লাভস্টোরি এক অনুপ্রেরণার নাম।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
ছবি: ইন্সটাগ্রাম