‘ফিফটি শেডস অফ গ্রে’এর নায়িকা অ্যানাস্থাশিয়া স্টিলের সঙ্গে সবার প্রিয় পপ রাজকুমারীর বন্ধুত্ব তেমন পুরোনো হয়ে ওঠেনি। তবে এই বন্ধুত্বের খবর জানেন সবাই। জয়ের এই মুহূর্ত উদ্যাপনে টেইলর সুইফটকে দেখা গেছে নিউ ইয়র্ক সিটির রাস্তায়, সঙ্গে ছিলেন এই অভিনেত্রী বন্ধুটি। পরে অবশ্য তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন টেইলরের ভাই অস্টিন সুইফট এবং ডাকোটা জনসনের ভাই জেসি। তাঁদের গন্তব্য সুইফটের প্রিয় ইতালিয়ান রেস্তোরাঁ, ভিয়া ক্যারোটা। নিউ ইয়র্কের ওয়েস্ট ভিলেজের রেস্তোরাঁ ভিয়া ক্যারোটা হয়ে উঠেছে সুইফটের ব্যক্তিগত রানওয়ে। গাড়ি থেকে নেমে রেস্তোরাঁ পর্যন্ত হাঁটার সেই ছোট্ট পথেই নিয়মিত ফ্যাশন প্যারেড করেন সুইফট। এর আগেও তাঁকে এখানে দেখা গিয়েছে ব্লেক লাইভলি, সোফি টার্নার, জিজি হাদিদ এবং প্রেমিক ট্র্যাভিস কেলসি-র সঙ্গে। পোশাক নির্বাচনে কখনো লাল মিনি-ড্রেস বা প্ল্যাড স্কার্ট স্যুট, কখনো বা টুল স্কার্ট আর ডেনিম।
সুইফটের ফ্যাশন সেন্সের প্রশংসা নতুন না। বরাবরই নিজের আলাদা স্টাইলে মন কেড়েছেন তিনি। এই উদ্যাপনের জন্যও বেছে নিয়েছিলেন স্টাইলিশ এক পোশাক। তিনি পরেছিলেন একটি ফুলেল ‘ফিট অ্যান্ড ফ্লেয়ার’ চা-ড্রেসে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এটি আমেরিকান লেবেল ডোইন এর পোশাক। নারীসুলভ আত্মবিশ্বাসী পোশাকের জন্য এই ব্র্যান্ডের সুনাম আছে। তাঁর কোমরে নজর কেড়েছে একটি মোটা গোল্ডেন চেইনযুক্ত কালো বেল্ট, আর পায়ে ছিল স্ট্র্যাপি কালো ও লাল-সোলের ক্রিশ্চিয়ান লুবতিন হাই হিল। জুতার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছেন একটি কালো-সোনার বালমাঁ হ্যান্ডব্যাগ।
হালের ক্রেজ মিনিমালিস্ট সোনার গয়না পুরো তাঁর লুকটিতে এনে দিয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। লেয়ারড নেকলেসের সঙ্গে কানে নজর কাড়ছে ছোট্ট এক জোড়া দুল, আর দুই হাতে সোনার ব্রেসলেট। চুল ছিল পরিচিত লম্বা পনিটেইলে বাঁধা, সামনের দিকে পুরোটা স্টাইলিশ ব্যাঙ্গস কাট। মেকআপে বরাবরের মতোই বেছে নিয়েছেন তাঁর ক্ল্যাসিক রেড লিপস ও উইংগড আইলাইনার। তাঁর ড্রেস ও জুতার রঙের সঙ্গে মেকআপ পুরোপুরি মানিয়ে গিয়েছে।
অভিনেত্রী ডাকোটা জনসনও ফ্যাশনের দৌড়ে কম যাননি। তিনি বেছে নিয়েছেন স্লিক কালো একটি পোশাক, সঙ্গে ছোট্ট একটি লেদার জ্যাকেট ও স্লিপ-অন শিয়ার হিল। সুইফটের লুকে রোমান্টিকতা ও নারীত্বের ছাপ স্পস্ট। এদিকে ডাকোটা দিয়েছেন কুল জেনজি ভাইব।
এর আগে তাঁকে শেষবার দেখা গেছে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে এক রেস্তোরাঁয়, কেলসির সঙ্গে। গিয়েছিলেন ডেটে। আবার তার আগে মাদার্স ডে উপলক্ষে কেলসির পরিবারের সঙ্গে ফিলাডেলফিয়ায় এক গেট টুগেদারে গিয়ে হয়েছেন খবরের শিরোনামও। ফেব্রুয়ারিতে ক্যানসাস সিটি চিফস-এর সুপার বোল হার এবং গত বছর ইরাস ট্যুর শেষ হওয়ার পর, এই যুগলের দেখা পাওয়া রীতিমতো দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
তবে এবার, স্বত্বাধিকার ফিরে পাওয়ার পর এই দম্পতির কাছে বড় কোনো আনন্দের খবরের আশা রাখছেন ভক্তরা। কারণ টেইলর সুইফটের এই জয় শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জনের কাতারে আটকে নেই, বরং শিল্পীদের অধিকার রক্ষার এক শক্তিশালী উদাহরণ হয়ে উঠেছে। বছরের পর বছর নিজের গান, সুর ও স্বত্ব নিয়ে যে লড়াই তিনি লড়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়েছে। এই আনন্দের উদ্যাপন আরও বড় পরিসরে হওয়া চাই বৈকী!