বিদ্যার চুল এখন কাঁধ ছোঁয়া ছোট, আর তার ডগায় হালকা সোনালি রং। এমন চুলে যেমন স্মার্ট, তেমনি সাহসী ও স্টাইলিশ দেখাচ্ছে অভিনেত্রীকে। দীর্ঘ সময় ধরে লম্বা চুলে দেখা গেলেও এবার তিনি প্রমাণ করলেন পরিবর্তন মানেই নতুন সৌন্দর্য।
ফটোশুটে বিদ্যাকে দেখা যায় দুটি পোশাকে। একটি ছিল ফ্ল্যামিঙ্গো গোলাপি রঙের ঝলমলে গাউন। অপারটি ছিল সিলভার রঙের ফ্লোর টাচ গাউন। দুটি পোশাকেই ব্যবহার করা হয়েছে সিকুইন ও বিডস। সফট গ্ল্যাম লুকে তার মেকআপও ছিল সমানভাবে মনোমুগ্ধকর। ঘন ভ্রু, মাসকারায় ঢাকা ঘন পাপড়ি, কালো আইলাইনারের সূক্ষ্ম ছোঁয়া এবং গোলাপি ও বাদামি টোনের শিমারি আইশ্যাডো। তার গালে ব্লাশ এবং উজ্জ্বল হাইলাইটার তার চেহারায় এনেছে উজ্জ্বল আভা। এবং মভ গ্লসি লিপস্টিক লুককে দিয়েছে পূর্ণতা।
বিদ্যা বালান কেবল তার অভিনয় দিয়েই নয়, তার ফ্যাশন সেন্স দিয়েও সবসময় সবাইকে মুগ্ধ করেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী শাড়ি থেকে শুরু করে ওয়েস্টার্ন থেকে ফিউশন সব ধরনের পোশাকে নিজের স্বকীয়তা ফুটিয়ে তুলতে পারদর্শী। এই ফটোশুটে তিনি পশ্চিমা ফ্যাশনের সঙ্গে তার স্বভাবজাত ভঙ্গিমার এক অপূর্ব মিশ্রণ উপস্থাপন করেছেন।
বিদ্যার এই নতুন লুক কেবল ফ্যাশন নয়, এটি নিজের প্রতি ভালোবাসা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। তিনি যেন জানিয়ে দিলেন, স্টাইল মানে নিজের মতো করে বাঁচা। নতুন কিছু করতে ভয় পাওয়া ঠিক নয়, বরং তাতেই লুকিয়ে থাকে সৌন্দর্যের আসল রূপ। সামাজিক মাধ্যমে বিদ্যার এই নতুন লুক নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উৎসাহের কমতি নেই। অনেকেই তার সাহসী চুলের স্টাইল এবং গ্ল্যামারাস পোশাকের প্রশংসা করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিগুলোতে ভক্তরা তার এই নতুন রূপকে ‘অসাধারণ’ এবং ‘ফ্যাশন আইকন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পিকক ম্যাগাজিন ইনস্টাগ্রামে বিদ্যা বালানের ছবি দুটি পোস্ট করে লিখেছে, নারীদের গল্প বদলাচ্ছে। কারণ বাস্তব জীবনে নারীরা ধীরে ধীরে কিন্তু দৃঢ়ভাবে নিজেদের পথ তৈরি করছেন। সেই পরিবর্তনই আজ পর্দায় দেখা যাচ্ছে। আজকের বিনোদনের জগতে যেখানে অনেক কিছুই পুরুষ-কেন্দ্রিক, সেখানে বিদ্যা বালান নিজের জায়গা তৈরি করেছেন একেবারে নিজস্ব ভঙ্গিতে। তিনি হয়তো জানতেন না, কিন্তু তাঁর কাজই প্রমাণ করেছে-নারীকেন্দ্রিক গল্পও হতে পারে জনপ্রিয় ও সমাদৃত।
বিদ্যা বালানের এই পরিবর্তন আমাদের মনে করিয়ে দেয়। সৌন্দর্য মানে নিজেকে ভালোবাসা ও নিজেকে প্রকাশ করা। ছোট চুল হোক বা রঙিন হাইলাইট, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মবিশ্বাস। আর সেই জায়গায় বিদ্যা নিঃসন্দেহে শতভাগ সফল।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম