নিজের ব্যাপারে বেশ অকপটেই সব শেয়ার করেন বলিউড তারকা আলিয়া ভাট সবসময়। আর কপিল শর্মার কমেডি শোয়ে গেলে তো কথার পিঠে মজার সব কথা উঠে আসবে, সেটাই স্বাভাবিক। নতুন সিনেমা 'জিগরা'-র প্রচারণায় সেই আসরে গিয়ে আলিয়া শোনালেন অনেক না বলা কথা । জানা গেল, এবারের মেট গালায় আলিয়া ভাটের ২৩ ফিট লম্বা আঁচলের শাড়ির লুকের পেছনে রয়েছে এক অন্যরকম 'আত্মত্যাগের' গল্প। অভিনেত্রী নিজেই বললেন, নিখুঁতভাবে সেট করা এই শাড়ির লুক যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য টানা ৬ ঘন্টা 'প্রক্ষালন কক্ষে' যান নি তিনি। 'প্রক্ষালন কক্ষ' মানে ইংরেজিতে যাকে 'ওয়াশরুম' বলি আর কি আমরা।
বেশ ব্যক্তিগত এই তথ্য গণমাধ্যমের সামনে আনায় কৌতুক ও মিমস শুরু হলেও আসলে কিন্তু বিষয়টি বেশ কষ্টদায়ক। আর তারকাদেরকে প্রায়ই এমন সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় পারফেক্ট লুকে সকলের সামনে আসতে। তারকা জীবনের বিড়ম্বনা তো এগুলো অবশ্যই। কিন্তু নিজের প্রতিটি ক্যামেরা উপস্থিতি, কাজ আর লুকের বিষয়ে আলিয়া যে কতখানি সিরিয়াস, সেটাও বোঝা গেল এই তথ্য জানার মাধ্যমে। চলুন ফিরে দেখি আলিয়া ভাটের সেই চোখ জুড়ানো মেট গালা লুকটি।
এ বছর মেট গালায় ফ্যাশন দুনিয়ার সবচেয়ে গ্ল্যামারস নাইট আউটের জন্য আলিয়া ভাট বেছে নিয়েছিলেন তাঁর অন্যতম প্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনারের তৈরি পোশাক। আর সেই ডিজাইনার আর কেউ নন- সব্যসাচী মুখার্জী। সব্যসাচী আলিয়ার জন্য ডিজাইন করেছিলেন একটি অসাধারণ সুন্দর প্যাস্টেল শেডের খুব হালকা রঙা মিন্ট গ্রিন শাড়ি। এতে এমবেলিশমেন্ট হিসেবে ছিল ফ্রিঞ্জ, সিকুইন ও রাইনস্টোন।
আর এর সঙ্গে থাকা ব্লাউজ্টি বানানো হয়েছিল পান্না, বাসরাইমুক্তা, টুরমেলিন ক্রিস্টাল ও স্যাফায়ার দিয়ে। শাড়ির সঙ্গে আলাদা করে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল আঁচলের মতো ২৩ ফুট লম্বা ট্রেন। এই একটি শাড়ি ও ব্লাউজ তৈরি করতে একশ তেষট্টি জন কারিগরের সময় লেগেছিল এক হাজার নয়শ পয়ষট্টি ঘন্টা। তা সেই তুলনায় অবশ্য ৬ ঘন্টা কিছুই না। তবু আলিয়া ভাটের জন্য তা অবশ্যই এক কঠিন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেজন্যই তিনি তা শেয়ার করলেন সকলের সঙ্গে।
ছবি: আলিয়া ভাটের ইন্সটাগ্রাম