পপ সুপারস্টার রিয়ানার বিশাল সাম্রাজ্য এখন পেছনে পড়ে গিয়েছে। অফিসিয়ালি বলা যায়, এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী নারী সঙ্গীতশিল্পী টেইলর সুইফট। অবশ্য এই খবর জেনে খুব একটা অবাক হচ্ছেন না কেউ। উল্লেখ্য, এখন ১.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের মোট সম্পদ রয়েছে এই অত্যন্ত জনপ্রিয় পপ রাজকুমারীর।
গতকাল ৫ অক্টোবর ফোর্বস জানিয়েছে এই খবর। ইরাস ট্যুরের অভাবনীয় ও যুগান্তকারী সাফল্য আর বিশ্বব্যপী টেইলরের গানের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা থেকে অবশ্য এ বিষয়টি অনেকেই আঁচ করতে পারছিলেন ইতিমধ্যেই। আর নারী-পুরুষের সম্মিলিত তালিকাতেও টেইলরের আগে শুধু মার্কিন পপ তারকা জে-জি আছেন। জে-জির মোট সম্পদ অবশ্য অনেক বেশি; ২.৫ বিলিয়ন।
টেইলর সুইফটের বিষয়টি কিন্তু সবার থেকে আলাদা। কারণ তিনি এই লিস্টের শীর্ষে গিয়েছেন শুধু একটি কাজ করে। আর তা হলো গান গাওয়া। ২০২৩-এর অক্টোবরে বিলিয়নিয়ার ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন এই তরুণ পপ তারকা। আর ইতিহাসে তিনিই একমাত্র সঙ্গীতশিল্পী, যিনি শুধুমাত্র অ্যালবামের বিক্রি আর লাইভ শো করে এই ১০ অঙ্কের সম্পদ অর্জন করেছেন। অন্যদের বেলায় তাঁদের ধনসম্পদের উৎস বহুমুখী।
২০২০-এর পর থেকে টেইলরের মোট সম্পদ যেভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে সেটাও এক বিস্ময়কর ব্যাপার। সে বছর তা ছিল ৩৬৫ মিলিয়ন ডলার। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, এই মাত্র ৪ বছরে তিনি ১.২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। রিয়ানা অবশ্য একবার ১.৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়ে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী নারী শিল্পীর শীর্ষস্থানেই আছেন এখনো। কিন্তু সবাই বলছেন, সেই স্থানটি নিয়ে নিতে টেইলর সুইফটকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। কারণ ইরাস ট্যুর শেষ হলেও টেইলর সুইফটের জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তা কমার লক্ষণ নেই সামনে।
সূত্র: ফোর্বস
ছবি: টেইলরের ইন্সটাগ্রাম ফ্যান অ্যাকাউন্ট