ক্যানসার জয়ের পরে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে যেসব যোগাসন করেন মনীষা
শেয়ার করুন
ফলো করুন

নব্বই দশকের বিখ্যাত অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার নাম শোননেনি এমন মানুষ কমই আছে। নেপালের হলেও বলিউডে কাজ করার মাধ্যমেই তাঁর অভিষেক হয় হিন্দি চলচ্চিত্রে। সে সময় তাঁর অভিনয় আর রূপের জাদু সব বয়সীকে মাত করেছিল। ২০১২ সালে জরায়ু ক্যানসার ধরা পড়ার পর বেশ কিছুদিন ক্যারিয়ার থেকেও দূরে ছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনেও গেছে নানা উত্থান–পতন। তবে গত বছর ‘হীরামান্ডি’ ওয়েব সিরিজের মধ্য দিয়ে নায়িকা নতুনভাবে আবার নিজেকে তুলে ধরেন, বেশ প্রশংসাও পান ভক্তদের।

৫৪ বছরে এসেও তিনি সুন্দর আর ফিট থাকার ব্রত নিয়েছেন
৫৪ বছরে এসেও তিনি সুন্দর আর ফিট থাকার ব্রত নিয়েছেন

এখন মানসিক, শারীরিক জটিলতা কাটিয়ে উঠেছেন মনীষা। ৫৪ বছরে এসেও তিনি সুন্দর আর ফিট থাকার ব্রত নিয়েছেন। তাই প্রতিদিনের রুটিনে যোগ করেছেন ইয়োগা বা যোগব্যায়াম। মনীষার কাছে তাঁর সুস্বাস্থ আর ফিটনেস ধরে রাখার অন্যতম চাবিকাঠি হলো নিয়মিত ওয়ার্ক আউট। অভিনেত্রী তাঁর ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি আর ভিডিও শেয়ার করেছেন অনুরাগীদের সঙ্গে।

বিজ্ঞাপন

কোন যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মনীষা তাঁর মন ও শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করেন, সেটাই বলেছেন তিনি। প্রতিদিনের শরীরচর্চা আমাদের অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত যোগাসন করুন এবং নিজের যত্ন নিন, ভালো থাকুন। এটাই সবার প্রতি পরামর্শ একসময়ের এই হার্টথ্রব নায়িকার।

সূর্যনমস্কার

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনীষা তাঁর দিন শুরু করেন সূর্যনমস্কারের মধ্য দিয়ে। অনেকগুলো যোগাসনের সমন্বিত যোগ অনুশীলন এটা। বোঝার সুবিধার্থে তিনি একটি রিলস ভিডিও শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ক্যাপশনে লিখেছেন, সূর্যনমস্কার কেবল অনুশীলন নয়, এটি এমন একটি জার্নি, যার মাধ্যমে শরীর, মন ও আত্মার ভারসাম্যের রক্ষা হয়। মণীষার এই যোগ অনুশীলনের তিনটি উপকারিতাও তুলে ধরেন তিনি।

১. শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীর ও মনের পুরো সিস্টেমকে পুনরুজ্জীবিত করে।
২. ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ায় এবং পেশি টোন করে।
৩. মনোযোগ ও মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত করার সময় মনকে শান্ত করে।

বিজ্ঞাপন

সূর্যনমস্কার পাশাপাশি মনীষা কৈরালার আরও তিনটি আসন বেশ পছন্দের।

পদ্মাসন

মনের প্রশান্তির জন্য তিনি চোখ বন্ধ করে পদ্মাসনে বসেন এবং বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন প্রতিদিন। প্রাচীনকাল থেকে ধ্যান বা মেডিটেশনের জন্য আসনটি সবচেয়ে কার্যকর। উদ্বেগ কমাতে ও মানসিক স্থিরতা বাড়াতে এই আসনের তুলনা নেই। উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে পদ্মাসন।

পশ্চিমোত্তানাসন

পশ্চিমোত্তানাসনকে ইংরেজিতে সিটেড ফরওয়ার্ড বেন্ড বলা হয়। শারীরিক ও মানসিক অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায় এই আসনের মধ্যে। তবে মেরুদণ্ড ও পেটের জন্য বিশেষ উপকারী এই আসন। পায়ের পেশি সবল করা থেকে শুরু করে পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে পশ্চিমোত্তানাসন।

গোমুখাসন

শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করা, পিঠের ব্যথা কমানো আর মনকে শান্ত করার মতো আরও নানা গুণ রয়েছে এই আসনের। অতএব কেবল মণীষা কৈরালার অনুরাগীরাই নন, যে কেউ এই আসন করে সুফল পেতে পারেন।

সূত্র: এন ডি টিভি

ছবি: মনীষার ইন্সটাগ্রাম

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬: ০০
বিজ্ঞাপন