ঐতিহাসিক সংগীতসফর ‘ইরাস ট্যুর’ নিয়ে দুনিয়া মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন টেইলর সুইফট। এই ট্যুর দিয়েই কয়েক মাসের মধ্যে অনেকগুলো নতুন রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি। ১৩ অক্টোবর বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুভি থিয়েটার চেন এএমসি থিয়েটারে মুক্তি পায় কনসার্ট নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘টেইলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর’। উত্তর আমেরিকা ও মেক্সিকোর পর এখন ধীরে ধীরে সারা বিশ্বেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে মুভিটি। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। বাংলাদেশি সুইফটিজদের (টেইলরের ভক্ত) কথা চিন্তা করে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ মুভিটির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে।
মুক্তির পরপরই হলিউড বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তোলে সিনেমাটি। প্রথম সপ্তাহে বক্স অফিসে এর অবস্থান ছিল ১ নম্বরে। এর এক সপ্তাহ পরে মুক্তি পায় মার্টিন স্কোরসিসির বহুল প্রতীক্ষিত মুভি ‘কিলার অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’। এতে অভিনয় করেছেন দুই অস্কার বিজয়ী অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও রবার্ট ডি নিরো। হলিউডের এই দুই বাঘা বাঘা অভিনেতা থাকা সত্ত্বেও ‘দ্য ইরাস ট্যুর’–এর সামনে দাঁড়াতে পারেনি ওই ছবি। এখন পর্যন্ত টেইলরের প্রামাণ্যচিত্র পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ১৫০ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাপী ২০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
এই নিয়ে হাল ফ্যাশনের সঙ্গে কথা বলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের হেড অব মিডিয়া মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর মুক্তির পর থেকে এই মুভি দেখতে বেশ ভালোসংখ্যক মানুষ এসেছে। আমরা প্রথমবারের মতো এই ধরনের মুভি এনেছি। আমাদের দেশে এমন প্রামাণ্যচিত্র হলে বসে কেউ দেখে না। বেশ ঝুঁকি নিয়ে মুভিটা আনা হয়েছে। তাই প্রথমে কেমন চলবে, তা নিয়ে একটু সন্দিহান ছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি বেশ ভালোই সাড়া পড়ে গেছে। যাঁরা মুভি দেখতে আসছেন, তাঁরা বেশির ভাগই টেইলরের সুইফটের ভক্ত।
শোগুলো হাউসফুল না হলেও যে কয়জন দর্শক এসেছেন, তাঁরা টেইলরের গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে, নেচে হল মাতিয়ে রাখছেন। ভবিষ্যতে মুভি নিয়ে আমাদের এমন নিরীক্ষা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও জানান যে প্রথম সপ্তাহে বেশ ভালো পরিমাণে টিকিট বিক্রি হয়েছে। সামনের সপ্তাহেও মুভিটি ভালো চলবে, এমন আশা ব্যক্ত করেছেন মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
‘টেইলর সুইফট: ইরাস ট্যুর’ কনসার্ট মুভি চলছে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি মল, সীমান্ত সম্ভার, এসকেএস টাওয়ার, সনি স্কয়ার, চট্টগ্রামের বালি আর্কেড ও রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের স্টার সিনেপ্লেক্সে।