বর্তমানে তাঁর বয়স ৩১। এর মধ্যেই ফুটফুটে কন্যাসন্তানের মা হওয়া, ক্যারিয়ার সামলানো—বলিউডের তারকা অভিনেত্রী আলিয়া ভাট সবই করছেন সমানতালে। মা হওয়ার পর সব নারীই ওজন নিয়ে একধরনের চাপে থাকেন। সন্তান জন্মদানের সময়কালে আলিয়া ভাটের ওজনও বেড়েছিল, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এরপর অভিনেত্রী কীভাবে টোনড ও ফিট শেপে দ্রুত ফিরে এসেছেন আর তা ধরেও রেখেছেন, তা নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। দ্রুত ওজন কমাতে আলিয়া আসলে ছয়টি সুপারফুডের ওপর ভরসা রেখেছেন।
ফল
আলিয়া ভাট তাঁর দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফল রেখেছেন। কারণ, ফল কেবল প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিই পূরণ করে না, এগুলো প্রাকৃতিক শর্করাও সরবরাহ করে, যা চিনির বিকল্প হিসেবেও কাজ করে।
ফলে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টি শরীরের ক্ষতি করে না, বরং তা শরীরের জন্য ভালো। আলিয়ার বিশেষ পছন্দের ফলের মধ্যে আপেল, বেরি আর সাইট্রাস প্রজাতির ফল রয়েছে। এই ফলগুলো ফাইবারে ভরপুর।
ভেষজ চা
আলিয়া ভাট রেগুলার চা বা কফির বদলে বিশেষ স্থানে রেখেছেন 'হারবাল চা'। হারবাল চা-এর মধ্যে সবুজ চা ও ক্যামোমাইল চা অভিনেত্রীর পছন্দের, যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য বেশ কার্যকর। হারবাল চা অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে আর দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এই জাদুকরি পানীয়। শরীরকে চাঙা রাখতে আর শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে আলিয়া সারা দিন এক কাপ ভেষজ চা পান করেন।
ভেজিটেবল জুস
ভেজিটেবল জুস বা সবজির রস যে শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী, তা আলিয়া ভাট প্রমাণ করে দিয়েছেন। ঘরে তৈরি টাটকা ভেজিটেবল জুসের মাধ্যমেই অভিনেত্রী সবজির ঘাটতি মেটান। পুষ্টিতে ভরপুর এই ভেজিটেবল জুসে ক্যালোরি কম থাকে, এর ফলে ওজন কমানোর ডায়েটে এটি একটি নিখুঁত সংযোজন বলা যায়। পালংশাক, কেইল (একধরনের পাতাকপি), গাজর ও শসার মতো শাকসবজি অভিনেত্রী তাঁর ভেজিটেবল জুসে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যা তাঁর শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করার পাশাপাশি তাঁকে হাইড্রেটেড রাখে।
হোলগ্রেন গমের রুটি
ভারতীয় স্টাইলের রুটি আলিয়া ভাটের খুব পছন্দ। তবে তা হতে হবে মাখন ছাড়া। হোলগ্রেন গমের রুটি অপ্রয়োজনীয় স্যাচুরেটেড ফ্যাট আর ক্যালোরি হ্রাস করে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। ওভার-ইটিং বা অতরিক্ত খাওয়া কমাতে ফাইবার–সমৃদ্ধ গমের রুটির তুলনা নেই।
জোয়ার ও বাজরা
আলিয়া তাঁর খাদ্যতালিকায় জোয়ার (sorghum) ও বাজরা (pearl millet)-এর মতো শস্য অন্তর্ভুক্ত করেছেন। গ্লুটেনমুক্ত এই শস্যগুলোতে ফাইবার বেশি আর ক্যালোরি কম থাকায় ওজন কমানোর জন্য আদর্শ খাবারও বলা যায়। এই খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ক্ষুধা নিবারণে সহায়তা করে।
কিনোয়ার সঙ্গে চিকেন
ওজন কমানোর জন্য আলিয়া ভাট আরেক সুপারফুড কিনোয়ার ওপরও ভরসা রেখেছেন। এই শস্যদানা প্রোটিন, ফাইবার আর অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড–সমৃদ্ধ। তবে অভিনেত্রী কিনোয়ার সঙ্গে যোগ করেছেন চিকেন। এই খাবার তাঁকে ওয়ার্কআউটের পরে পেশির ক্ষয় পূরণে সহায়তা করে।
আলিয়া ভাটের ওজন কমানোর জার্নিতে এই ছয়টি খাবার বিশেষভাবে থাকলেও এর সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম, প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যালেন্স ডায়েটও রয়েছে। নিঃসন্দেহে আলিয়ার ডায়েটের এই সুপারফুডগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করবে, তবে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে অবশ্যই একজন পেশাদার পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
হিরো ইমেজ: ইন্সটাগ্রামে আলিয়া ভাটের ফ্যান অ্যাকাউন্ট