দেখতে খুব বেশি মিল নেই বোন টস্কা মাস্কের সঙ্গে টেসলা, এক্স আর স্পেস এক্স, ওপেন এআই আর নিউরালিংকের প্রাণভোমরা ইলন মাস্কের। তবে এই ইন্টারনেটের জমানায় সবাই সবাইকে চিনে ফেলে।
আর চলচ্চিত্র নির্মাতা টস্কাও অপরিচিত মুখ নন। ইলন মাস্কের সবচেয়ে ছোট বোন তিনি। ভাই ইলন মাস্কের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই বেড়ে ওঠা তাঁর। কানাডা থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে সেদিকেই মনোযোগী হয়েছেন টস্কা পেশাগত জীবনে। তবে ভাই ইলন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ধনকুবের হওয়ায় বেশ খ্যাতির বিড়ম্বনা পোহাতে হয় তাঁকে, জানা গিয়েছে৷
এমনিতে একেবারে খুব সফল না হলেও টস্কা মাস্কের বানানো সিনেমা, ওটিটি ওয়েবসিরিজ ইত্যাদি ভালোই ব্যবসা করে। হলিউডভিত্তিক নানা অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখা যায় তাঁকে।
কিন্তু সম্প্রতি টস্কা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে চিনতে পেরে সবকিছুর বহুগুণ দাম হাঁকানো হয়। কারণ একটাই। তিনি বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের বোন। অথচ খুব সোজাসাপটা কায়দায় জানিয়ে দিলেন টস্কা যে ইলন তার জন্য খরচ করেন না। ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সী এই চলচ্চিত্র নির্মাতার জন্য এই অতিরিক্ত দাম চাওয়া বা কিছু কিনতে বাধ্য করার মতো বিষয়গুলো খুবই ঝামেলা তৈরি করে, বললেন তিনি। একবার সিনেমার লোকেশনের ভাড়া ৫ হাজারের জায়গায় ২৫ হাজার ডলার চার্জ করা হয়েছিল তাঁকে।
ইলন মাস্ক এখন অনেক ধনী হলেও তাঁরা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মান নি, জানা গেল টস্কার বয়ানে। মা বাবার বিচ্ছেদের পরে মায়ের কাছেই মানুষ হয়েছেন তাঁরা তিন ভাইবোন।
আবার এদিকে ইলন যে বোনের জন্য কিছুই করেন না তা নয়। অথচ তাঁর নিত্যদিনের খরচ তিনি নিজেই যোগান৷ তাঁর ভাই নন। তাই টস্কা বললেন, তিনি যে কাকে কী বলবেন এ নিয়ে তা বুঝে পান না। এদিকে রেস্তোরাঁর বিল থেকে শুরু করে পোশাকের দামসহ সব কিছুই বেশি চাওয়া হয় টস্কার কাছে। আর এই নিয়ে আসলেই খুব ঝামেলা হচ্ছে ইলন মাস্কের বোনের।
সূত্র: বেনজিঙ্গা ডট কম
ছবি: টস্কা মাস্কের ইন্সটাগ্রাম