দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াদ রশিদ মিথিলা। এ মুহূর্তে তিনি ভীষণই ব্যস্ত তাঁর ওয়েব সিরিজ মন্টু পাইলটের দ্বিতীয় কিস্তির প্রচারণায়। সম্প্রতি এ আলোচিত ওয়েব সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে। মাত্র কয় দিন আগেই তিনি ঢাকা ঘুরে গেছে। বর্তমানে কলকাতাতেই আছেন। ঈদেও থাকছেন।
ঈদ উপলক্ষে এবার আলাদাভাবে কোনো শপিং করা হয়ে ওঠেনি মিথিলার। প্রচারণার ব্যস্ততায় অন্য কারও জন্য তেমন কোনো উপহারও কেনা হয়নি। তবে জানালেন স্বামী সৃজিত মুখার্জী ও কন্যা আয়রার জন্য নাকি ঢাকা থেকে ইতিমধ্যেই ঈদের উপহার কলকাতায় পৌঁছে গেছে।
জামদানি মিথিলার ভীষণ প্রিয়। ঈদের দিন জামদানি শাড়ি পরতেই বেশি পছন্দ করেন। উপহার হিসেবে জামদানি শাড়ি পেতে তাঁর ভালো লাগে।
মিথিলা জানান, ঈদের দিন নিজেই রান্না করেন। সৃজিতের জন্য রাঁধেন তাঁর প্রিয় পদ মাংস ও আয়রার জন্য চিংড়ি মাছের মালাইকারি। এ ছাড়া ডেজার্টের ভেতর তৈরি করেন গাজরের হালুয়া। নিজের পছন্দের খাবার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন আম্মুর হাতের পোলাও-মাংস খেতেই আমি বেশি ভালোবাসি।
ঢাকায় থাকলে আম্মুর বাসায় যাই। তবে এবার কলকাতায় থাকার জন্য সেটা হচ্ছে না’।
মিথিলা আরও বলেন, ‘কলকাতায় আসলে ঢাকার মতো ঈদে তেমন একটা মজা হয় না। এখানে কিছু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা আছে। ঈদে আগে সেখানে ঘুরতে যাওয়া হয়েছে, তবে ঢাকার সেই আমেজটা এখানে পাওয়া যায় না’।
কথা প্রসঙ্গেই জানালেন, ‘এবার ঈদের দিন পরিবারসহ পাড়ি জমাচ্ছেন মহারাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে। যেহেতু ঢাকায় থাকা হচ্ছে না, তাই ভাবলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। ঈদের ছুটিতে এবার যাচ্ছি মহারাষ্ট্রের তাওডোবা আন্ধারি টাইগার রিজার্ভ জঙ্গল সাফারিতে। এর আগে আফ্রিকায় জঙ্গল সাফারিতে আয়রা সিংহ দেখেছিল। ওর অনেক দিনের ইচ্ছা বাঘ দেখার। আবার ঈদের আগে আইরার জন্মদিন। তাই ছুটিটা একই সঙ্গে ঈদ ও আয়রার জন্মদিনের উপহার হিসেবে প্ল্যান করা হয়েছে’।