বোটক্স নয়, বরং হাইফু ট্রিটমেন্টই দীপিকার ত্বকে এনেছে নতুন দীপ্তি
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রিটমেন্ট শুরুর আগে দীপিকা গুরুত্ব দেন ক্লেনজিংয়ে। তাঁর কথায়, ‘ক্লেনজিং হলো ত্বক ভালো রাখার মূল ভিত্তি।’ এরপর শুরু হয় মূল প্রক্রিয়া হাইফু ট্রিটমেন্ট। হাসতে হাসতে দীপিকা বলেন, ‘হাইফু ইজ হাইফুইং’। অর্থাৎ এই ট্রিটমেন্টের প্রতি তার আস্থা রয়েছে। এবং তিনি নিয়মিত এই ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নেন।  

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, দীপিকা ক্রায়ো থেরাপি মেশিন ব্যবহার করছেন —   যা মূলত বরফের সংস্পর্শে ত্বক টানটান করার মতো কাজ করে। এরপর ব্যবহৃত হয় একটি ‘বুস্টার’, যা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। অবশেষে, এক বিশেষ ধরনের এলইডি লাইট থেরাপি-র মাধ্যমে পুরো ট্রিটমেন্টটি সম্পূর্ণ করা হয়। প্রতিটি ধাপ যেন তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাজানো।

বিজ্ঞাপন

হাইফু (HIFU) কী এবং কেন এটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে

ডার্মাটোলজিস্ট ডা. শারিফা চাউসে বলেন, হাইফু (High-Intensity Focused Ultrasound) হলো একটি নন-ইনভেসিভ প্রসাধনী পদ্ধতি। যেখানে ত্বকের গভীরে আলট্রাসাউন্ড তরঙ্গ প্রয়োগ করে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো হয়। এর ফলে ত্বক টানটান হয় এবং বলিরেখা দুর করা যায়। যারা সার্জারি ছাড়াই মুখের চামড়া টানটান ও তরতাজা করতে চান, তাদের জন্য এই ট্রিটমেন্ট একটি চমৎকার বিকল্প। এই প্রক্রিয়ার জন্য অ্যানেসথেসিয়া বা দীর্ঘ মেয়াদি বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না। তাই এটি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং নির্ভুল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।
ডা. চাউসে পরামর্শ দেন, হাইফু করানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। কারণ, প্রতিটি ব্যক্তির ত্বক ভিন্ন, তাই ত্বকের ধরন যাচাই করেই সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

উন্নত প্রযুক্তি: আল্ট্রাসেল কিউ প্লাস (Ultracel Q+)

ডার্মাটোলজিস্ট ডা. ধ্রুভী প্যাটেল জানান, আল্ট্রাসেল কিউ প্লাস একটি উন্নত মানের হাইফু প্রযুক্তি। এটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি চর্বি কোষ লক্ষ্য করে কাজ করে। ফলে ত্বক আরও সজিব ও টানটান হয়। এবং প্রক্রিয়াটি তুলনামূলকভাবে ব্যথাহীন ও দ্রুত ফলপ্রসূ। এই ট্রিটমেন্টের ফলাফল ১৮ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এটি ফেসলিফট, বডি কনট্যুরিং এবং ত্বক পুনরুজ্জীবনের জন্য আদর্শ।
ডা. প্যাটেল আরও বলেন, অ্যান্টি-এজিং রুটিন যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, ততই কার্যকরী হয়। এতে বয়সের ছাপ ধীর করা সহজ হয় এবং ভবিষ্যতে বড় কোনও ইনভেসিভ ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন কমে আসে। এছারা সানস্ক্রিন ব্যবহার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ সিরাম, এবং নিয়মিত ত্বক আর্দ্র রাখার অভ্যাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সুস্থ ত্বকের জন্য সঠিক জীবনধারা

সঠিক পুষ্টি, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি পান এবং ভালো ঘুম - সবকিছু মিলিয়েই তৈরি হয় তারুণ্যময় ত্বক। অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে, এবং সামগ্রিকভাবে একটি প্রাণবন্ত সৌন্দর্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপেস ও ইনস্টাগ্রাম

ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ৪৫
বিজ্ঞাপন