ঘি শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, বরং শরীরের ভেতরে ঘটে যাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করে। এর ফলে ভালো মেটাবলিজম, স্থিতিশীল ইনসুলিন লেভেল আর বাড়তি এনার্জি পায় দেহ।
পুষ্টিবিদের মতে, সকালে এক চামচ ঘি ব্লাড সুগারকে পুরো দিনের জন্য স্থিতিশীল রাখতে পারে। এতে ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্ষুধা কমে, মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ কমে যায়, আর সারাদিন শক্তি ধরে রাখা যায়। পাশাপাশি যে কাজ গুলো করে,
* হঠাৎ তীব্র ক্ষুধা বোধ হয় না
* সুগার ক্র্যাশ রোধ করে
* হরমোনজনিত বারবার অস্বস্তি কমায়
পিসিওএস, ব্রণ, অনিয়মিত পিরিয়ড, ক্লান্তি, বা জেদি মেদ। এসব সমস্যার পেছনে শুধু ‘উইলপাওয়ার’-এর ঘাটতি দায়ী নয়, বরং মেটাবলিজমের ভারসাম্যহীনতাও বড় কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একেবারে ফ্যাট গ্রহণ না করলে গ্লোয়িং স্কিন আর ব্যালান্সড হরমোন দুটোর জন্যই প্রয়োজন। তাই সঠিকভাবে ফ্যাট গ্রহণ করা উচিত।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জার্নাল অব আয়ুর্বেদ অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ মেডিসিন-এ প্রকাশিত এক গবেষণা বলা হয়, ঘি এবং ঘি-ভিত্তিক হারবাল ফরমুলেশন (যা ‘ঘৃত’ নামে পরিচিত) ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে থাকা বিউট্রিক অ্যাসিড ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে, হজমশক্তি বাড়াতে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক হতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ১ চা চামচ বিশুদ্ধ দেশি ঘি খেতে হবে। চাইলে হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
ঘি শুধু স্বাদের জন্য নয়, শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর। তবে ডায়াবেটিস, লিভারের সমস্যা বা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত জটিলতা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শুরু করা উচিত।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম