সবাই এখন ন্যাচারাল লুক থেকে বের হয়ে আবারও ফিরেছে রঙিন মেকআপ লুকে। অর্থাৎ নিজেকে আরও রঙিন করে তুলছে সবাই। সবকিছু এখন আরও হাইলাইটেড, বেড়েছে গ্লিটারের ব্যবহার, এক কথায় পুরোনো সেই শাইনি লুকেই এখন সবাই বেশি সপ্রতিভ। এ বছর নতুন করে কোন মেকআপ ট্রেন্ডগুলো ফিরে এসেছে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
টিকটক আর রিলসের মেকআপ ভিডিওগুলো দেখলে বোঝা যায় যে ব্লাশ-অন এখন শুধু আর গালেই লাগানো হয় না। বর্তমান ট্রেন্ডে ব্লাশ চোখের নিচ থেকে গালের উপরিভাগ পর্যন্ত লাগানো হচ্ছে। অ্যানিমে চরিত্রের মেয়েদের মতো চেহারা বেশ গ্লোয়ি দেখায়, সঙ্গে তারুণ্যদীপ্তও লাগে। আর ব্লাশ অন মানে কিন্তু এখন শুধু গোলাপি আভাই নয়। অরেঞ্জ আর ব্রাউনও বেশ খানিকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে। কেউ কেউ তো পার্পল ব্লাশ-অনও লাগাচ্ছেন দ্বিধাহীনভাবে। এক কথায় সবাই গ্লো করছে। ইংরেজিতে বলা যায়, ‘এভরিওয়ান ইজ ব্লাশিং’। কেউ কারও চেয়ে এখানে কম নয়।
নিউট্রাল আইশ্যাডো প্যালেট আর সফট ব্রাউন লুক থেকে আমরা অনেকখানিই ফিরে এসেছি। এখন আবারও নতুন করে ফিরেছে নীল, সবুজ, গোলাপি, বেগুনি বা হলুদের রঙিন মুহূর্ত। যারা মেকআপ করতে ভালোবাসে তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য রঙিন এই চোখ এখন ক্যানভাসের মতোই বলা যায়।
এই ট্রেন্ডটি এক কথায় পুরোপুরি একটি নস্টালজিয়া, সঙ্গে অবশ্য জেন-জির খানিকটা ছোঁয়া আছে। কালার প্যালেটের চেরি সোডা কালার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই চেরি কোলা লিপস ড্র করলে আপনার ঠোঁট যে আলাদাভাবে নজর কাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই লিপ কম্বোটি পাওয়ার জন্য একটি ব্ল্যাক আর ডিপ ব্রাউন লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকিয়ে নিতে হবে, সঙ্গে মাঝের অংশে জুড়ে দিতে হবে লাল লিপস্টিক, দিয়ে দিতে হবে পছন্দের রঙের লিপ গ্লস। এইভাবে ঠোঁট আঁকিয়ে নিলে লুকটা দেখতে বেশ বোল্ড দেখায়।
সত্যি বলতে স্মোকি আই আসলে কখনো ট্রেন্ড থেকে চলেই যায়নি। তবে হাইপড ট্রেন্ডের তালিকায় কিছুটা পেছনের সারিতেই ছিল। সবাই কিন্তু সফট লিড আর ফ্লাফি ল্যাশ চায়, মনে হচ্ছে নতুন করে ট্রেন্ডটি কামব্যাক করল। ব্ল্যাক লাইনার, সামান্য ব্রাউন, ব্ল্যাক বা চারকোল গ্রে দিয়ে স্মোকি আইশ্যাডো, ল্যাশ লাগিয়ে নিলে লুকটি বেশ ড্রামাটিক হয়।
রাতের যে কোনো গ্ল্যাম পার্টিতে গ্লিটার নজর কাড়ে আলাদাভাবে। স্পার্কলি কাট ক্রিজ থেকে শুরু করে গ্লিটার টিয়ারস বা শাইনি ইনার কর্নার - সবখানেই স্পার্কটাকে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে বেছে নেয়। আর দেখতেও কিন্তু মন্দ লাগে না। এই ট্রেন্ড যে কোনো ফেস্টিভ লুক, বার্থডে গ্ল্যাম বা রাতের যে কোনো আউটিং এ চমৎকার মানিয়ে যায়। লিড বা চিকবোনে খানিকটা স্পার্কল লাগিয়ে নিলে রাতেও আপনার মেকআপ লুক ইনস্ট্যান্ট ভলিউম এনে দেবে।
ট্রেন্ড পুরোনো হয়ে গেলেই যে তা আবার শুরু করা যাবে না, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেকআপ ট্রেন্ডকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এ মাধ্যম গুলোতে সবাই বাধাহীন ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারে। এই বছর যদি পুরোনো ট্রেন্ডকে নতুন করে মেনে চলতে চান তাহলে একঘেয়েমিও কাটবে, নতুন নতুন লুকও ট্রাই করা যাবে।