সম্প্রতি একটি সৌন্দর্যবিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ শতাংশের বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহারকারী ঠোঁটে কখনোই সানস্ক্রিন লিপবাম ব্যবহার করেননি। যদিও ঠোঁটে সানস্ক্রিন লিপবাম পরার আছে বহু উপকার।
ত্বককে রক্ষা করতে সরাসরি সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা হয়। আর ঠোঁটের জন্য দরকার সানস্ক্রিন–সমৃদ্ধ লিপবাম।
ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হলো লিপবামের ব্যবহার। কিন্তু এখন শুধু লিপবামে ঠোঁটকে পুরোপুরি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব কমায় সানস্ক্রিন। এসপিএফ-৩০ ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। ঠোঁটের প্রয়োজন বুঝে এসপিএফ ১৫–৩০ লিপবাম ব্যবহার করা যাবে। ঠোঁটের ত্বক অনেক বেশি পাতলা বলে সানস্ক্রিন লিপবামের বিকল্প নেই।
প্রসাধনী ব্যবহারের আছে নিদিষ্ট নিয়ম ও পরিমাণ। সানস্ক্রিন লিপবাম ক্ষতিকর রশ্মি, দূষণ, রোদে পোড়া থেকে সুরক্ষা দেয়, তবে ব্যবহার করতে হবে পরিমাণমতো। দিনের শুরুতে লিপবাম ব্যবহার করতে হবে কিছুটা বেশি পরিমাণে, যেন ঠোঁটের শুষ্কতা কমে আর ঠোঁট নরম হয়। কিন্তু একবার ব্যবহার করেই সারা দিন সুরক্ষা পাওয়া যাবে না। নিয়ম অনুযায়ী ৪০ মিনিট পরপর ঠোঁটে লিপবাম ব্যবহার করা উচিত। শুরুতে পরিমাণে একটু বেশি লাগলেও পরবর্তীতে পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। পানিপ্রতিরোধক লিপবাম ব্যবহার করাই বেশি উপকারী।
লিপবাম মূলত ঠোঁটকে সুরক্ষা দেয় কিন্তু ঠোঁটের রং থাকে অনেকটাই প্রাকৃতিক। তাই এসপিএফ–সমৃদ্ধ লিপগ্লস ব্যবহার করা যাবে। এতে লিপস্টিকের কাজও হবে আবার সুরক্ষাও পাওয়া যাবে।
এসপিএফ লিপবামে তিন ধরনের উপাদান থাকা দরকার। এর মধ্যে রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান, প্রয়োজনমতো এসপিএফ ও সুরক্ষা দেওয়ার উপাদান।
ভালো মানের লিপবামে ভারী তেল ও কয়েকটি উপাদান থাকবে। জাজোবা তেল, গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, শিয়া বাটার, ভিটামিন ই লিপবামে গাঢ় ঘনত্ব দেয়। এতে লিপবাম দীর্ঘ সময়ে ঠোঁটে থাকে ও সুরক্ষা দেয়।
সুরক্ষার জন্য সব থেকে বেশি দরকার এসপিএফ। বিশেষজ্ঞরা নূন্যতম ৩০ এসপিএফ লিপবাম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তবে প্রয়োজন বুঝে এসপিএফ ৫০–ও ব্যবহার করা যায়, যা ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়।
সুরক্ষা পেতে লিপবামে জিঙ্ক অক্সাইড ও টাইটানিয়াম অক্সাইড থাকা প্রয়োজন। এটি ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেবে।
সূত্র: সোলারেক্স ডটকম, এল, কালার সায়েন্স
ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইনস্টাগ্রাম