ত্বকের যে কোনো যত্ন নেয়ার শুরু হয় ত্বক পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী বেছে নিন ক্লেনজার। যেমন- তৈলাক্ত ত্বকের বাড়তি তেল শোষণের জন্য স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, আলফা হাইড্রক্সি বা বেনজয়েল পার অক্সাইড অ্যাসিড যুক্ত ক্লেনজার উপযুক্ত। শুষ্ক ত্বকের জন্য এমন ক্লেনজার বেছে নিন যাতে শশা, অ্যালোভেরা এক্সট্র্যাক্ট বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড আছে। মিশ্র ত্বকের জন্য এমন ক্লেনজার বেছে নিন যাতে ত্বক আর্দ্র রাখার উপাদান রয়েছে।
যে কোনো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর প্রধান শর্তের একটি হচ্ছে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। এতে ত্বক আর্দ্র ও সুরক্ষিত থাকবে।
মেকআপের বেজ এমনভাবে করুন যেন খুব বেশি ভারী না লাগে। এজন্য বেছে নিতে পারেন স্যাটিন ফিনিশ বেজ। এটি ঠিক ম্যাটও নয়, আবার তেলতেলেও নয়। দেখতেও ন্যাচারাল লাগে। কভারেজ বেজ মেকআপের পর ত্বকের ব্রণ বা দাগ, চোখের নিচের কালো দাগ ঢাকার জন্য কনসিলার লাগিয়ে নিন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ফাউন্ডেশন বেছে নিন। নইলে মেকআপ ক্র্যাক হতে সময় লাগবে না। লুজ পাউডার দিয়ে সেট করে নিন। লাগিয়ে নিন ব্লাশ ও হাইলাইটার।
নিউট্রাল আইলুকের চেয়ে চোখের সাজে এবার খানিকটা প্রাধান্য পাচ্ছে রঙিন শেডগুলো। তবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আই মেকআপে কিছুটা বদল আসতেই পারে। যেমন- সকালে সফট ন্যুড পিংক আই মেকআপ করা যায়। কাজল আর আউটার কর্ণারে আই লাইনার দিয়ে আইলুক ডিফাইন করা যায়। সকালে ফেইক ল্যাশ বা ভারী মাশকারা না দিলেও চলে। রাতের আইলুকে একটা পরিবর্তন আনা যায়।
পেন্সিল দিয়ে আইব্রো এঁকে নিতে হবে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে লাল, সবুজ, গোল্ডেন শিমারি যে কোনো আইশ্যাডো দেয়া যায়।
সকালে মেনে চলতে পারেন 'লেস ইজ মোর' এই উক্তিটি। মানে হচ্ছে ব্রাউন শেড বা ন্যুড লিপস্টিক লাগিয়েই সকালের সময়টুকু কাটিয়ে ফেলতে পারেন। বিকাল বা সন্ধ্যার পর গ্ল্যাম লুক ক্রিয়েট করলে তখন লিপ মেকআপটাও হাইলাইট করতে পারেন বোল্ড কালারের লিপস্টিক দিয়ে। লাল রঙ ক্ল্যাসিক আবার একইসাথে বোল্ডও। তবে এই পছন্দ পুরোটাই আপনার উপর নির্ভর করছে। কী রঙের পোশাক পরছেন, কীভাবে সাজতে চাচ্ছেন তাঁর সাথে মানিয়েই হোক লিপস্টিক নির্বাচন।
মেকআপ লুক যেমনই হোক না কেন, শুরুতে প্রাইমার ও শেষে সেটিং স্প্রে লাগিয়ে নিতে একদমই ভুলবেন না।
ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইনস্টাগ্রাম