রেটিনল বর্তমান সময়ে স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে খুবই আলোচিত। এটি একধরনের ভিটামিন এ-জাতীয় উপাদান, যার গুণের কোনো শেষ নেই। রেটিনল ত্বকের মৃত কোষ, ব্রণ ও হাইপারপিগমেন্টেশন বা দাগছোপ কমাতে পারে। এটি ত্বক বয়সের ছাপ কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে। এ ছাড়া এটি ত্বকের কোষের পুনর্গঠনেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও মানুষ তাঁদের রূপচর্চার রুটিনে রেটিনল যোগ করতে ভয় পায়। এর কারণ হচ্ছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা।
প্রথম প্রথম রেটিনল ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া, লালচে ভাব ও চামড়া ওঠার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এতে অনেকে ঘাবড়ে গিয়ে এটি ব্যবহার বন্ধ করে দেন। তাঁরা মনে করেন, এতে বুঝি ত্বকে ক্ষতি হচ্ছে বা সংবেদনশীল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে রেটিনল ব্যবহারের শুরুতে এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়া খুব স্বাভাবিক। ডার্মাটোলজিস্টদের থেকে জানা যায় যে রেটিনল ব্যবহারে যদি ত্বক জ্বলে, তাহলে বুঝতে হবে মৃত কোষ সরে গিয়ে সেখানে নতুন কোষ গঠিত হচ্ছে। তখন ত্বকে লালচে ভাব বা চামড়া ওঠার মতো অবস্থা হতেই পারে।
এবার আসা যাক গরমের কথায়। এই সময়ে ত্বকে এমনিতেই অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তার ওপর এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খাঁড়া। সব মিলিয়ে অনেকেই ভয়েই রেটিনল ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে এই গরমের দিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে মেনে নিয়েই রেটিনল ব্যবহার করা যাবে। এবার এই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
● রেটিনল কখনো দিনে নয়, রাতে ব্যবহার করতে হয়। কারণ, সূর্যের আলোয় রেটিনলের কার্যকারিতা কমে যায়। পাশাপাশি রেটিনল ব্যবহারের পর ত্বক সূর্যের আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে যায়।
● যেদিন ত্বক এক্সফোলিয়েট করার কথা, সেদিন কোনোভাবেই রেটিনল ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বকে খুব বাজে রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
● ত্বকের যত্নের রুটিনে যদি রেটিনল থাকে, তাহলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আর তা শুধু গরমের দিনে নয়, সব সময়ই। কারণ, আগেই বলা হয়েছে, রেটিনল ত্বককে সূর্যের আলোর প্রতি সংবেদনশীল করে ফেলে। সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে গেলে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা লালচে ভাব হতে পারে। আর হ্যাঁ, ঘরে বা বাইরে যেখানেই থাকা হোক না কেন, এ ক্ষেত্রে দুই বা তিন ঘণ্টা পরপর পুনরায় সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।
হিরো ইমেজ: হাল ফ্যাশন