
প্রসাধনী যেন ভালো থাকে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় সেটার জন্য কিছু পদ্ধতি মেনে চলা যায়। চলুন তবে প্রসাধনীর স্থায়িত্ব বাড়ানো যায় কীভাবে সে সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

বেশির ভাগ প্রসাধনী ঘরের এমন জায়গায় রাখতে হয় যেখানে তাপমাত্রা কিছুটা ঠান্ডা, অর্থাৎ সরাসরি রোদের তাপ আসে না। রুম টেম্পারেচারই সবচেয়ে ভালো, তাই ফ্রিজে রাখা জরুরি নয়। যে জায়গায় সূর্যের সরাসরি আলো আসে, বাথরুমে অথবা রোদ পড়ে এমন জায়গায় প্রসাধনী রাখা উচিত নয়। এতে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট দ্রুত কার্যক্ষমতা হারায়। কিছু প্রসাধনী অবশ্য ফ্রিজে রাখলে ত্বকে আরাম পাওয়া যায়। যেমন- আই ক্রিম। খানিকটা ঠান্ডা অনুভূত হলে চোখের ফোলাভাব কমে আসে।

সূর্যের আলো মুড ভালো রাখার জন্য জরুরি, কিন্তু ত্বকের যত্নে যে প্রসাধনী তার জন্য নয়। ইউভি রশ্মি ভিটামিন সি, রেটিনল, প্ল্যান্ট বেইজড এক্সট্র্যাক্ট এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, যে কারণে ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে। কেবিনেট, ড্রয়ার বা অর্গানাইজারে গুছিয়ে রেখে দিলে অনেক দিন ভালো থাকে এই প্রসাধনী।

ব্যবহার শেষে কখনো প্রসাধনী পণ্যের ঢাকনা খোলা রয়ে যেতে পারে। এতে অসচেতনতায় পড়ে যেতে পারে ভেতরে থাকা উপাদানটি। যত বেশি সময় ঢাকনা খোলা থাকবে, তত বেশি বাতাস প্রবেশ করে অক্সিডেশন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই ব্যবহার শেষে বোতল বা টিউবের মুখ শক্ত করে লাগিয়ে রাখবেন। বিশেষ করে ওয়াটার বেইজড প্রোডাক্ট যেমন- ক্লিনজার ও টোনারের ক্ষেত্রে এটা বেশি খেয়াল রাখতে হবে।

অনেকেই বাথরুমে স্কিনকেয়ার করেন, প্রোডাক্ট গুলোও সেখানে রাখেন। তবে সেখানে যদি স্টিম শাওয়ার নেওয়া হয় তবে প্রসাধনী দ্রুত আর্দ্রতা বেশি পেয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বাড়তি ময়েশ্চারের কারণেও ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়, বিশেষ করে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্রোডাক্টে।

যদি বেশি পরিমাণে প্রসাধনী কিনেন, তাহলে রিফিল অপশন চালু রাখতে পারেন। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য ছোট ছোট কন্টেইনার ব্যবহার করতে পারেন। এতে মেইন প্রোডাক্ট সিল করাই থাকবে এবং বাতাস, আলো বা ময়েশ্চার ঢুকবে না সহজে।

শুধু পণ্য সাবধানে রাখাই নয়, এর জন্য যে টুলসগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোও পরিষ্কার রাখতে হবে। যেমন- স্প্যাচুলা, ব্রাশ এমনকি হাতের আঙুলও। এতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে। নইলে ব্রেকআউটের আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
সঠিকভাবে স্টোরেজ করলেও অনেক সময় স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি কখনো নজরে আসে যে ময়েশ্চারাইজার শুকিয়ে যাচ্ছে, সিরামের স্মেল অন্যরকম হয়ে গিয়েছে, বাম নিজস্ব রং হারিয়ে ফেলেছে - তখন বুঝতে হবে পণ্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এমন সন্দেহ হলে পণ্য বদলে ফেলুন।
ছবি: এআই