
কিন্তু সামান্য কিছু ভুলেই এই নিখুঁত ফিনিশ হারিয়ে যেতে পারে। লুক হয়ে যেতে পারে কেকি, শুষ্ক বা বয়স বেশি লাগার মতো। তাই জানা দরকার, পাউডার লাগানোর সময় কোন ভুলগুলো একেবারেই করা চলবে না।

অনেকে মনে করেন যত বেশি পাউডার লাগানো হবে, তত মেকআপ স্থায়ী হবে। আসলে বিষয়টি উল্টো। বেশি পাউডার ত্বককে শুষ্ক করে, ফাউন্ডেশনের টেক্সচার ঢেকে দেয় এবং কেকি ফিনিশ তৈরি করে। এমনকি ফাইন লাইন ও বলিরেখাও স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই পাউডার সব সময় ধীরে ধীরে প্রেস করে লাগানো উচিত। যদি কোনো দাগ ঢাকতে হয়, সেখানে সামান্য বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মুখে অযথা পাউডারের লেয়ার জমিয়ে ফেলবেন না।

পাউডার সব ধরনের ত্বকের জন্য এক নয়। তৈলাক্ত ত্বকে ম্যাট ফিনিশ পাউডার ভালোভাবে কাজ করে। এটি তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং লুককে দীর্ঘস্থায়ী করে। কিন্তু শুষ্ক বা বয়সী ত্বকে ম্যাট পাউডার ফিনিশকে নিস্তেজ করে তোলে। এই ধরনের ত্বকে হালকা রেডিয়েন্ট বা হাইড্রেটিং ফিনিশের পাউডার বেশি মানায়। নিজের ত্বকের ধরন না বুঝে ভুল পাউডার বেছে নিলে মেকআপ কতটুকু নিখুঁত হলো, তা টের পাওয়া কঠিন।

চোখের নিচ, মুখের পাশ বা স্মাইল লাইনস—এই জায়গাগুলোতে ক্রিজ হওয়া সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা। অনেকেই এসব জায়গায় পাউডার লাগাতে ভুলে যান, ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফাউন্ডেশন জমে যায় ও প্যাচি লাগে। এই অংশগুলোতে ছোট ব্রাশ বা স্পঞ্জ দিয়ে আলতোভাবে পাউডার প্রেস করে দিন। এতে মেকআপ থাকবে মসৃণ, লুকও টিকে যাবে অনেকক্ষণ।

পাউডার দেওয়ার পর বাড়তি অংশ মুখে রেখে দিলে ফিনিশ হয়ে যায় পাউডারি ও অপ্রাকৃতিক। তাই একটি পরিষ্কার ফ্লাফি ব্রাশ দিয়ে বাড়তি পাউডার হালকা হাতে ঝেড়ে নিন। এতে ত্বক দেখাবে মসৃণ ও নরম, আর মেকআপের রংও সুন্দরভাবে মিশে যাবে।

সেটিং পাউডার পুরো মুখে নয়, লাগাতে হবে কেবল প্রয়োজনীয় জায়গায়। বিশেষ করে টি-জোনে—যেখানে তেল বেশি হয়। পুরো মুখে লাগালে লুক ফ্ল্যাট ও ওভার-ম্যাট হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি হেয়ারলাইনের দিকেও খেয়াল রাখুন; অনেক সময় পাউডার চুলের গোড়ায় লেগে থাকে, যা লুকের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়।
সঠিকভাবে সেটিং পাউডার ব্যবহার করলে মেকআপ হয় দীর্ঘস্থায়ী, লুক হয় প্রাকৃতিক ও নিখুঁত। তাই পাউডারকে শুধু একটি সাধারণ প্রোডাক্ট ভেবে নয়, বরং মেকআপের শেষ ধাপ হিসেবে যত্ন নিয়ে ব্যবহার করুন। তবেই পাবেন কাঙ্ক্ষিত নরম, নিখুঁত ফিনিশ—যেন সাজটা মিশে যায় নিজের ত্বকের সঙ্গেই।
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি