লালরঙা ঠোঁট মানেই শক্তি ও নারীত্বের প্রতীক। লাল ঠোঁট যেমন আলাদা স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করে, ঠিক তেমনই আত্মবিশ্বাস বাড়ায় বহুগুণ। আইকনিক যেকোনো চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে ফ্যাশন শো বা ফটোশুট—সব জায়গাতেই লালের প্রভাব ব্যাপক। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও এই লাল রং আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে কাজের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
লাল রং বেশ কয়েকটি প্রতীকী অর্থ বহন করে। একদিকে এই রং জীবন, সংকল্প ও আবেগকে তুলে ধরে; অন্যদিকে বিপদের রংও লাল। এই রঙ নিয়ে মনোবিজ্ঞানী জনাথন গার্সিয়া অ্যালেনের ব্যাখ্যা হচ্ছে, লাল রং হৃৎস্পন্দন বাড়ায়, অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ করে, এনার্জি লেভেল বাড়ায়। এ কারণে এই রং যাঁরা পরিধান করেন, তাঁরা প্রগতিশীল ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়।
মানুষ ও প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই লাল রং আধিপত্য ও জীবনীশক্তির প্রতীক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লালকে আকর্ষণীয় রং হিসেবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ কারণে দলনেতা বা পাবলিক স্পিকাররা নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ও শক্তিশালী বোঝাতে লাল লিপস্টিক ব্যবহার করেন।
লাল যত শক্তিশালী রং, তেমন তার শেডও বাহারি। তাই স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক শেড বাছাই করাও গুরুত্বপূর্ণ। মেকআপ আর্টিস্ট ও কালার থিওরি এক্সপার্টদের মতে, কুল স্কিন ও ব্লু আন্ডারটোন স্কিন যাদের, তাদের জন্য ক্ল্যাসিক শেড বেশ মানাবে। যাঁদের ওয়ার্ম স্কিন আন্ডারটোন, তাঁদের জন্য কপার রেড বা তামাটে লাল বেশি মানানসই। নিউট্রাল কিছু লাল রঙের শেড আছে, যেগুলো সব ধরনের ত্বকে মানিয়ে যায়। যদি ফিনিশিংয়ের কথা বলা হয়, তাহলে ম্যাট রেড সাধারণ চেহারায় মানায়। গ্লসি রেড ব্যবহারে গ্ল্যামার বাড়ে। মিনিমাল আই মেকআপ হোক বা বোল্ড স্মোকি আইলুক—লাল মানিয়ে যায় সবকিছুতেই।
লাল লিপস্টিকে যদি সারা দিন প্রাণবন্ত থাকতে চান, তাহলে প্রস্তুতি নিতে হবে আগে থেকে। লিপস্টিক দেওয়ার আগে লিপ বাম লাগিয়ে নিন ঠোঁটে। লিপস্টিকের সঙ্গে ম্যাচ করে লাল রঙের লিপ পেনসিল দিয়ে ঠোঁটের আউটার লাইন এঁকে নিন। এবার লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। টিস্যু পেপার দিয়ে ঠোঁটে একটু চাপ দিয়ে বাড়তি রংটুকু উঠিয়ে নিন। লিপস্টিক যেন হাই পিগমেন্টেড ফর্মুলার হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। এতে যেমন বোল্ড লুক তৈরি হবে, তেমনই সারা দিন আপনাকে দেখতেও সুন্দর লাগবে, আর আত্মবিশ্বাসী তো আপনি থাকবেনই।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম ও পেকজেলসডটকম