দাগি সিনেমার বাস্তবধর্মী রূপসজ্জা দাগ কেটেছে সবার মনে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো নিয়ে দর্শকদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে সেগুলো। তবে গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সব চরিত্রের মানানসই রূপসজ্জার কারণে ইতিমধ্যেই সুপারহিটের তকমা পাওয়া দাগি পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এই সিনেমার চরিত্রেগুলোর নজরকাড়া রূপসজ্জার দায়িত্বে থাকা আতিয়া রহমানের কাছ থেকে জানা গেলো এর নেপথ্যের গল্প। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তিনিই প্রোস্থেটিক মেকআপের ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী। এর আগে 'কারাগার' সিরিজসহ বিভিন্ন সাড়া জাগানো সিনেমা ও ধারাবাহিকে তাঁর কাজ অত্যন্ত প্রশংসা পেয়েছে।

নিশানের চরিত্রে নিশোকে কোন দুর্ধর্ষ ক্রিমিনালের লুক দেয়া হয়নি
নিশানের চরিত্রে নিশোকে কোন দুর্ধর্ষ ক্রিমিনালের লুক দেয়া হয়নি
দাগির পোস্টার

দাগি-র ভেতরের গল্প জানতে দর্শককে যেতে হবে সিনেমা হলে; আর প্রতিটি চরিত্রের লুকের গল্প আজ রইল হাল ফ্যাশনে। যে কোনো চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলোর রূপায়নের মধ্য দিয়েই এর স্টোরিটেলিং সার্থকতা পায়। গুণী নির্মাতা শিহাব শাহিনের দাগি বেশ কয়েক বছরের টাইমলাইনের গল্প। সে কারণে প্রতিটি চরিত্রে সেকাল-একাল ও ঘটনার পট পরিবর্তনের ছাপ থাকা আবশ্যকীয় ছিল। এই চ্যালেঞ্জিং কাজটিকে বাস্তব রূপ দেওয়া আর সেই নিয়ে নানা রকম নিরীক্ষা করেছেন সুপরিচিত মেকওভার এক্সপার্ট আতিয়া রহমান। এই সিনেমার মূল চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো।

 লুক নিয়ে নিশো নিরীক্ষা করতে বেশ আগ্রহী
লুক নিয়ে নিশো নিরীক্ষা করতে বেশ আগ্রহী
দাগির পোস্টার

প্রাণোচ্ছল এক তরুণ থেকে দাগি আসামী হওয়ার পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে আসার এই  তিনটি পর্যায়ে তাঁর লুক অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য করে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, মনোজ প্রামাণিক, রাশেদ মামুন অপু, মনিরা মিঠু, গাজী রাকায়েত, নার্গিস আলীর অভিনয় করা প্রত্যেকটি চরিত্রকে গল্পের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কাজটি সুচারুভাবেই করেছেন আতিয়া ও তাঁর টিম।

বিজ্ঞাপন

আফরান নিশোর সঙ্গে আতিয়া এর আগেও কাজ করেছেন আলোচিত 'কাইজার' ওয়েব সিরিজে। লুক নিয়ে নিশো নিরীক্ষা করতে বেশ আগ্রহী। আতিয়া বললেন, 'এমনিতেই নিশো ভাই চরিত্রের ভেতরে ঢুকে যেতে ভালোবাসেন'। তিনি বলেন, দাগি সিনেমার নিশান চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে আফরান নিশোর শতভাগ সহযোগিতা তাঁর কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আর সেজন্য এই গুণী অভিনেতাকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। আতিয়া বললেন, 'অনেক মেকআপ আর্টিস্ট শিল্পীকে পেলে ভেবে বসেন একটা চেহারা পেলাম, মেকআপ করে ফেলি। কিন্তু আমার কাছে পুরো বিষয়টা হচ্ছে লুক ডিজাইন করা। ক্যারেক্টার ডিজাইন বা লুক ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটে ওঠে গল্পের সার্থকতা'।

প্রতিটি চরিত্রের রূপসজ্জায় পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করেছেন আতিয়া
প্রতিটি চরিত্রের রূপসজ্জায় পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করেছেন আতিয়া
ছবি: টিজারের স্ক্রিনশট

'দাগি' সিনেমায় কাজের ক্ষেত্রে প্রতিটি চরিত্রের রূপসজ্জায় পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য নির্মাতা শিহাব শাহীনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আতিয়া। তিনি বলেন, 'এ কারণেই আমি আমার মতো করে ভাবতে পেরেছি। দাগি আসামির কোনো চরিত্র যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে দেখব মোটা দাগে সাধারণত একই রকমের বেশভূষা থাকে। আমরা যখন দাগির মুল চরিত্রের কথা ভেবেছি, প্রথমেই মাথায় এসেছে গল্প অনুযায়ী নিশান কোন পরিবার থেকে এসেছে সে বিষয়টি। একটি শিক্ষিত পরিবারের ছেলে দুর্ঘটনাচক্রে একটি অপরাধ করে ফেলে। সে আগে কখনো কোন অপরাধ করেনি। তাই লুকের ক্ষেত্রেও সে বিষয়টা মাথায় রাখা হয়েছে। ফলে নিশানের চরিত্রে নিশোকে কোন দুর্ধর্ষ ক্রিমিনালের লুক দেয়া হয়নি।

বিজ্ঞাপন

আতিয়ার কাছ থেকেই জানা গেল, এই সিনেমার পুরো শুটে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিলো নিশোর বিভিন্ন সময় ও ঘটনাপ্রবাহের পর্যায় অনুযায়ী লুক দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করা। ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল, এই লুকগুলোতে যেন কোনো অসামঞ্জস্য না থাকে। বারবারই ঘুরেফিরে আতিয়া বললেন নিশোর ডেডিকেশন ও সহযোগিতার কথা। তিনি বললেন, ‘দুটো টাইমলাইনে বেশ কয়েক বছর আগের ও পরের লুক বাস্তবসম্মত করতে আমরা মুখে ফ্রেকলস দিয়েছি। এখন তো প্রোস্থেটিক মেকআপ মানুষ বেশ বোঝে। তাও বেশির ভাগের ধারনা সেটা কেবল কাঁটা, ছেড়া, আঘাতের চিহ্ন বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। প্রোস্থেটিক মানে আসলে তা নয়। নিশো ভাইয়ের বয়সের পরিবর্তন বোঝাতে আমরা যে মেকওভার দিয়েছি সেটাও প্রোস্থেটিক ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে করা'।

প্রোস্থেটিক মেকআপ করা হচ্ছে।
প্রোস্থেটিক মেকআপ করা হচ্ছে।
ছবি: আতিয়া রহমান

তিনি আরো জানালেন, এই সামগ্রীগুলোর কোনোটাই বাংলাদেশে পাওয়া যায়না। এগুলো মুম্বাই আর জার্মানি থেকে আনানো হয়েছে। তাঁর বয়ানে, 'অনেক বছর পরের লুক ক্রিয়েট করার জন্য আমরা বেশ ডাস্টি মেকআপ করেছি, ফ্রেকলস দিয়েছি আর চুল সাদাকালো করা হয়েছে। আমি সেখানে বিশেষ প্রোস্থেটিক স্প্রে ব্যবহার করেছি। কারাগার ওয়েব সিরিজে চঞ্চল ভাইয়ের লুক ক্রিয়েট করার জন্য আগেও এগুলো ব্যবহার করেছি। পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় আমার লুক ক্রিয়েট করতে সুবিধা হয়েছে', বললেন আতিয়া।

তমা মির্জার সঙ্গে আতিয়া
তমা মির্জার সঙ্গে আতিয়া
ছবি: আতিয়া রহমান
মনোজ প্রামাণিকের মেকআপ করছেন তিনি
মনোজ প্রামাণিকের মেকআপ করছেন তিনি
ছবি: আতিয়া রহমান

তাঁর কথায়, 'একজন শিল্পী যখন আমার কাছে আসেন তখন এক ধরনের দায়িত্ববোধ অনুভব করি আমি৷ অভিনয় তো শিল্পী ক্যামেরার সামনে করবেন কিন্তু তাঁর লুক ক্রিয়েট করার সময় যাতে কোনো স্কিন অ্যালার্জি না হয় সেটি দেখার দায়িত্ব আমার। আর নিশো ভাই এমনিতে অনেক ফর্সা। তাঁর স্কিন টোন ডার্ক ব্রাউন করতে আমাদের বেশ কসরত করতে হয়েছে'। আতিয়া জানালেন, চরিত্রের প্রয়োজনে গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আফরান নিশোর মুখে একটি স্কার বা কাটা দাগ আছে, যা প্রোসথেটিক ম্যাটেরিয়ালে করা। পুরো মুভিতে এটি একই রকম ছিল। পোশাকের ক্ষেত্রে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত বাঙালি তরুণ যে ধরনের পোশাক পরেন সেটাই পরেছেন নিশো। আবার জেলের দৃশ্যে উনি কয়েদীর পোশাকই পরেছেন। কারাগারের ভেতর কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স ছিল। তখন ধূলাবালি, রক্তের দাগ এসব যুক্ত করা হয়েছে। আতিয়া আরো বলেন, নিশো ভাইয়ের চুল লম্বা ছিল। সেটা শুটের সময় কাটা হয়েছে। একেক সময়ের তাঁর চুলের দৈর্ঘ্য একেক রকম রাখা হয়েছে। তিনি আরো বললেন৷ পুরো শুট করা হয়েছে ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে। শুটিং স্পট ছিল রাজশাহী ও সৈয়দপুর। সে সময় উত্তরবঙ্গে অনেক শীত। আমরা সবাই যে যার মত করে গরম কাপড় পরে ছিলাম। কিন্তু নিশো ভাই এতো ডেডিকেটেড ছিলেন যে সেই তীব্র শীতে উনি একটা শার্ট আর প্যান্ট পরেই শট দিচ্ছিলেন। একটা দৃশ্যে খেয়াল করলে দেখবেন নিশো ভাইয়ের চোখে রক্ত দেখা যাচ্ছে, সেই ডিটেলিং নিয়েও আমরা কাজ করেছি। হাতের নখ থেকে শুরু করে যে অংশগুলো ক্যামেরায় দেখা যাবে প্রতিটা আমি ডিটেলিং করার চেষ্টা করেছি।

গল্পের মূল নায়িকা জেরিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। এমনিতেই তমা সুঅভিনেত্রী। সেই সঙ্গে তিনি খুবই গ্ল্যামারাস। তবে এই সিনেমায় তাঁকে সাধারণ একটি মেয়ের লুকেই দেখা যাবে। আতিয়া বললেন, 'গল্পের প্রথম দিকের লুক ক্রিয়েট করার জন্য যে বিষয়টা মাথায় রেখেছি, একটা মেয়ে যখন প্রেমে পড়ে নিজেকে আকর্ষণীয় দেখাতে নিজের মনের মানুষের জন্য সুন্দর করে সাজে, তমার চরিত্রে সেটাই করা হয়েছে'। জেরিন চরিত্রে তিনি উজ্জ্বল রঙয়ের পোশাক পরেছেন। মেকআপে বর্ণিল ছোঁয়া। চুল ছেড়ে রাখা হয়েছে।

তমা ও নিশোর পরের লুক
তমা ও নিশোর পরের লুক
টিজার স্ক্রিনশট

তিনি বলেন, 'লুক ক্রিয়েট করার সময় আমি মনস্তত্ব, প্রেক্ষাপটও চিন্তা করি। নিশান জেলে যাওয়ার পর জেরিনের বিয়ে হয়ে যায়। সেটা তার মতের বিরুদ্ধে একটা সমঝোতা ছিলো। সে কারণে গল্পের পরবর্তী পর্যায়ে তার লুকে আবেদন নেই, বরঞ্চ ,ফুটে উঠেছে বিষণ্ণতা। দুই সময়ে বেজ মেকআপ একই ছিল। কিন্তু নো মেকআপ লুক ক্রিয়েট করা হয়েছে পরের লুকে'। গয়নার ক্ষেত্রে হাতে চিকন চুড়ি  বা ছোট্ট দুল রাখা হয়েছে। ছোট গলার ব্লাউজ, আর ডার্ক টোনের পোশাক পরেছেন তমা আর পরের লুকে তমার চোখের নিচে একটা ডার্ক সার্কেল মেন্টেন করা হয়েছে বিষণ্ণতা বোঝানোর জন্য । সবকিছু মিলে এক অসুখী নারী চরিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তমা আতিয়ার মেকওভারে।

লিখন চরিত্রে সুনেরাহ বিনতে কামাল একজন বাকশক্তিহীন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যেহেতু কোন সংলাপ ছিলনা,পুরোটা সময় অভিব্যক্তি দিয়েই অভিনয় করেছেন তিনি। আতিয়া বললেন, তাঁর একটাই লুক ছিল যেখানে স্ট্যান্ডার্ড  বিউটি মেকআপ করা হয়েছে। তবে চোখের মেকআপ লাউড করা হয়েছে যেহেতু সেটা সুনেরাহর মূক চরিত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।

নজর কেড়েছে সুনেরাহর লুক
নজর কেড়েছে সুনেরাহর লুক
টিজারের স্ক্রিনশট

তমা মির্জার স্বামী চরিত্রে রাশেদ মামুন অপুকে আগের ও পরের রূপে অন্যরকম লুক দেয়া হয়েছে এবং দাঁতেও প্রোসথেটিক উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। পরের লুকে হুট করে বড়লোক হলে মানুষের মাঝে যে চাকচিক্য আসে সেই ব্যাপারটা তুলে ধরে লুক ক্রিয়েট করা হয়েছে ।

হাই লেভেল প্রোস্থেটিক কাজ
হাই লেভেল প্রোস্থেটিক কাজ
ছবি: আতিয়া

এই মুভিতে দুটি উল্লেখযোগ্য  প্রোসথেটিকসের ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে সোহাগ চরিত্রে মনোজ প্রামাণিকের, যখন তিনি ছাদ থেকে পড়ে যান, তাঁর গলায় রডের শিক ঢুকে যায়।  দ্বিতীয়টি নিশানের দাদি চরিত্রে নার্গিস আলীর। গল্পে আগুনে তাঁর মুখের এক পাশ পুড়ে যায়। শহীদুজ্জামান সেলিম এই সিনেমায় আছেন একটি শক্তিশালী চরিত্রে । টাইমল্যাপসের প্রেক্ষাপট বোঝাতে সাদাকালো চুল রাখা হয়েছে তাঁর ক্ষেত্রে। আতিয়া বললেন, তাঁর মুখে পুরোনো ক্ষতের দাগ রাখা হয়েছে  চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য। এই প্রতিভাবান মেকওভার এক্সপার্ট বলেন, 'আমি আশি ভাগ কাজই করেছি প্রোসথেটিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে। বাকি বিশ ভাগ কাজ রেগুলার মেকআপ দিয়ে করা'।

তবে লুকগুলোকে পারফেক্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে চিত্রগ্রাহক শুভংকর ভড় আর কালারিস্ট দেবজ্যোতি ঘোষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, বলেন আতিয়া। এজন্য তাঁদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ দেন তিনি। এই পুরো প্রজেক্ট হচ্ছে টিম ওয়ার্ক। আতিয়া বিশেষভাবে বললেন সাদিয়া আক্তার বিন্তু, বিজয় রায় ও সালাউদ্দিনের কথা। দাগির কস্টিউম ডিজাইনার ছিলেন ফারজানা অ্যানি।

কাজ করছেন আতিয়া ও ফারহানা
কাজ করছেন আতিয়া ও ফারহানা
ছবি: আতিয়া

এর আগেও নানা সময়ে আমরা আতিয়া-অ্যানি জুটির সম্মিলিত প্রয়াসে মুগ্ধ হয়েছি। দাগিও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। উল্লেখ্য, এই সিনেমার সহপ্রযোজনায় আছে চরকি ও প্রযোজনা করেছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড।  আতিয়া রহমান ইতিমধ্যে সাবরিনা, কারাগার, লেডিস এন্ড জেন্টলমেন, বলি, দুই দিনের দুনিয়া, মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন এর  মতো দুর্দান্ত সব ওয়েবসিরিজ ও সিনেমা দিয়ে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন নিজের কাজের। একজন নারী রূপসজ্জাকার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত লুক ডিজাইনার হিসেবে সুনাম কুড়োচ্ছেন নিজ গুণে। দারুণ সব স্ক্রিপ্টের বৈচিত্র্যময়  চরিত্রের সঙ্গে আতিয়ার সৃজনশীলতার নিরীক্ষা চলুক অবিরাম, এই কামনা জানিয়েই হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাঁর আন্তরিক কথোপকথনের ইতি টানা হলো।

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ৩৭
বিজ্ঞাপন