ঘরোয়া উপায়ে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি
শেয়ার করুন
ফলো করুন

‘সাধারণত ঘামের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া জমে দুর্গন্ধ তৈরি করে। অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে বংশগত, বেশি ওজন, থাইরয়েডের সমস্যা, হরমোনের সমস্যা, দেহে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাব, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ। এ ছাড়া গর্ভাবস্থা ও মেনোপজের সময়ও ঘাম বাড়ে,’ বলেন শিওরসেল মেডিকেল বিডির প্রধান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন।

কোনো রোগের কারণে ঘাম হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক রোগের কারণ বের করে চিকিৎসা দেবেন। সেই সঙ্গে ঘাম কমাতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে বলেও জানান ডা. তাওহীদা রহমান। পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়ে ঘামের দুর্গন্ধ কমানোর বিষয়েও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মডেল: শর্মি, মেকওভার: পারসোনা, লোকেশন: ক্যানভাস স্টুডিও, ছবি: হাদী উদ্দীন

গোসলে সাবধানতা

অতিরিক্ত ঘামে ভোগা ব্যক্তিরা অনেক সময় ভাবেন, লম্বা সময় ধরে বা কয়েকবার গোসল করলে সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। ধারণাটি সঠিক নয়। ঘাম কমাতে চাইলে শীতে অতিরিক্ত গরম এবং গরমে বেশি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। গরমের সময় কম তাপমাত্রা আর শীতে নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে।

ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে গোসলের পানিতে গ্রিন টি বা গোলাপ জলের নির্যাস মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। খুব ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সোপ ফ্রি মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহারই ভালো। গোসলের সময় দেহের ভাঁজযুক্ত স্থান (বগল, গলার ভাঁজ, কুঁচকি ইত্যাদি) পরিষ্কারে যত্নবান হোন।
গোসলের পর আলতো করে নরম কাপড় দিয়ে গা মুছতে হবে। খসখসে তোয়ালে ব্যবহার করলে ঘর্মগ্রন্থিগুলো ঘাম বাড়ায়। শরীর ভালোভাবে মুছে কিছু সময় পর পোশাক পরতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বেকিং সোডার ব্যবহার

একটি কনটেইনারে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও দুই টেবিল চামচ বেকিং পাউডার মিশিয়ে রেখে দেওয়া যেতে পারে। গোসলের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে দেহের ভাঁজগুলোতে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

আরামদায়ক পোশাক

ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে নরম, আরামদায়ক ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। এতে ঘাম দ্রুত শুকাবে। কাপড়ের ফেব্রিকসের প্রতি যত্নবান হাওয়া উচিত। সেই পোশাকই পরুন, যা আপনাকে স্বস্তি দেয়। পায়ের মোজা যেন সুতির হয়। মোজা ও অন্তর্বাস প্রতিদিন ধুতে হবে।

মডেল: শর্মি, মেকওভার: পারসোনা, লোকেশন: ক্যানভাস স্টুডিও, ছবি: হাদী উদ্দীন

খাবারে পরিবর্তন

অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, বেশি তেল-চিনি-লবণসমৃদ্ধ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেইন (চা, কফি) কমিয়ে আনুন। এর পরিবর্তে গ্রিন টি বা হারবাল টি পান করুন।ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং পানীয় খাবার খেতে হবে। এতে প্রস্রাবের সঙ্গে দেহের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করবে।

লেবুর ব্যবহার

লেবু দেহের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। লেবুর রস দেহের ভাঁজগুলোতে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতেও দুর্গন্ধ কমবে।

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৯: ৪০
বিজ্ঞাপন