গ্লাইকোলিক অ্যাসিড একধরনের আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড। এটি কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হয়। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড খুব কোমলভাবে ত্বকের উপরিভাগ থেকে মৃত কোষ দূর করে। এ ছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতেও অনেক কার্যকর। তবে মুখ ত্বক ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকের সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করতে পারে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড।
মাথার ত্বক থেকে খুশকি তাড়াতে নির্দ্বিধায় ব্যবহার করুন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। এটি মাথার ত্বক এক্সফোলিয়েট করে খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। অনেক বছর ধরে ট্রাইকোলজিস্টরা (চুল রোগবিশেষজ্ঞ) মাথার ত্বকের সোরাইসিস বা সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসায় এই অ্যাসিড ব্যবহার করছে। কারণ, এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ত্বকে ইস্ট ও ব্যাকটেরিয়া রোধে সহায়তা করে। এ জন্যই খুশকি ঠেকাতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারেন। তবে সপ্তাহে দুই দিনের বেশি নয়।
শুধু মুখের ত্বকে নয়, শরীরের আরও অন্যান্য ত্বকেও ব্রণ হতে পারে। মুখের পর সবচেয়ে বেশি ব্রণ দেখা দেয় পিঠে। কারণ, এখানেও ঘাম, ময়লা, অতিরিক্ত সিবাম জমে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ত্বকের এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে সমাধান পেতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের থেকে ভালো উপাদান খুব কমই আছে। এটি শুধু ত্বকের ওপরে জমে থাকা মৃত কোষই দূর করে না, রোমকূপ গভীরভাবে পরিষ্কার করে ব্রণ দূর করে। যাদের পিঠে ব্রণ হয়েছে, তাঁরা সপ্তাহে তিন দিন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলেই হবে। ব্রণ সেরে যাওয়ার পর এটি প্রতিরোধে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যবহার করলেই চলবে।
আন্ডারআর্ম বা বগলের যাবতীয় সমস্যার এক সমাধান হলো গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। আমাদের অনেকের আন্ডারআর্মে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা থাকে। এটি কমাতে নাকি ম্যাজিকের মতো কাজ করে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। এ ছাড়া ঘামের দুর্গন্ধ রোধে ডিওডোরেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায় গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। এই কায়দাটা পাওয়া গেছে টিকটক থেকে। ঘামের দুর্গন্ধ রোধের এই পদ্ধতিকে ডার্মাটোলজিস্টরাও ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন। তাঁদের মতে, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড মৃত কোষ দূর করে দেখে আন্ডারআর্মে কোনো ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে না। মূলত ব্যাকটেরিয়ার কারণেই ঘামের দুর্গন্ধ হয়। এ ছাড়া আন্ডারআর্মে ভুলভাবে শেভিংয়ের পর ইনগ্রোন হেয়ার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড দিয়ে এক্সফোলিয়েট করলে এটি হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইনস্টাগ্রাম