পেঁয়াজে রয়েছে সালফার। এটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি খনিজ উপাদান। এ ছাড়া এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা প্রোটিন ও ক্যারাটিনের বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কাজ করে। এগুলো চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়িয়ে চুলকে করে তোলে ভেতর থেকে মজবুত। সেই সঙ্গে পেঁয়াজের রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা মাথার ত্বককে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায়।
শুধু তা–ই নয়, এটি ফ্ল্যাভোনয়েডের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা চুলকে ফ্রি রেডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে। সালফার কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। কোলাজেন চুলের কোষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে প্রয়োগ করলে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা চুলের ফলিকলের বৃদ্ধিকে নিশ্চিত করে।
জেনে অবাক হবেন, পেঁয়াজের রস যে শুধু আপনার চুলকে সুন্দর ও ঘন করে তোলে, তা কিন্তু নয়; এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও রক্ষা করে।
এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণেই মূলত চুল ধূসর বর্ণ ধারণ করে, যার কারণে অনেকেরই অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যায়। যাঁদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও চুলে ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজের রস।
কয়েকটি পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারের সাহায্যে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর একটি ছাঁকনির সাহায্যে রস ছেঁকে নিন। তবে আপনার মাথার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়ে থাকে, এতে সামান্য পানি যোগ করে নিন। আবার অনেকে পেঁয়াজের গন্ধের কারণে এসব ব্যবহার করতে চান না। তাঁরা এতে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার কিংবা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তাহলে এটি থেকে আর গন্ধ আসবে না।
এরপর এটি আপনার মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। কয়েক মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করে নিন, যাতে পেঁয়াজের রস আপনার চুলের ফলিকলগুলোয় প্রবেশ করতে পারে। মাথার যে অংশে অনেক বেশি চুল কমে আসছে, সেসব অংশে বেশি মনোনিবেশ করুন। কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মতো এটি চুলে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন। সবচেয়ে ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দুবার চুলে ব্যবহার করতে পারেন এই পেঁয়াজের রস।
ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম