
বিশেষজ্ঞরা বলছে, খুশকি থেকে শুরু করে ব্রণ, রোদে পোড়া দাগ বা হঠাৎ হওয়া র্যাশ, পুরুষেরা এগুলো শুরুর দিকে দেখেও না-দেখার ভান করেন, যতক্ষণ না সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। মনে রাখতে হবে দেরিতে যত্ন নিলে অনেক সাধারণ ত্বক ও চুলের সমস্যা চিকিৎসা-নির্ভর হয়ে পড়ে। তাই সময়মতো নজর দেওয়া এবং কিছু নিয়মিত অভ্যাস বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পুরুষদের সবচেয়ে সাধারণ ও অবহেলিত সমস্যা হলো খুশকি। প্রথমে সামান্য খসখসে ভাব থাকলেও অনেকেই বিষয়টিকে পাত্তা দেন না। পরবর্তীতে দেখা যায় খুশকি দাড়ি-গোঁফ-ভ্রু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
অনেক সময় বাজারের অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুও উল্টো পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে। আবার স্পা বা নিজস্ব কিছু ট্রিটমেন্টও উস্কে দেয় চুলকানি ও খসখসে ভাব। মনে রাখতে হবে যখন চুলকানি প্রচণ্ড হয় আর ফ্লেক্স দাড়ি বা গোঁফে দেখা যায়, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

শেভের পর একটি-দুটি ব্রণ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় যখন নিয়মিত ব্রেকআউট হতে থাকে এবং দাগ দেখা যায়। বেশির ভাগ পুরুষই অপেক্ষা করেন এটি নিজে থেকে ঠিক হবে যাবে। আবার অনেকে বন্ধুর পরামর্শে নানা ক্রিম ব্যবহার করেন।
ফলে প্রাথমিক পর্যায়ের সহজ চিকিৎসা পেরিয়ে অনেক সময় ব্রণ এমন জায়গায় পৌঁছায় যখন চিকিৎসা ছাড়া উপায় থাকে না।

ফোরহেড বা মুখের পাশে ধীরে ধীরে গাঢ় হওয়া দাগকে অনেকেই প্রথমে গুরুত্ব দেন না। অতিরিক্ত রোদে থাকার কারণে এসব দাগ শুরু হয়। প্রথমে হালকা হলেও সময়ের সঙ্গে তা বড় আকার নেয়।
অনেক পুরুষ মাথাব্যথা বা ক্লান্তিতে কপালে বাম ব্যবহার করেন, যা ঘর্ষণের কারণে অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস তৈরি করতে পারে। আবার ওজন-সম্পর্কিত সমস্যায় ‘অ্যাকানথোসিস’ দেখা দিতে পারে, যা সাধারণ পিগমেন্টেশন নয়। এতে ত্বকের টেক্সচারও বদলে যায়। এ পর্যায়ে ঘরোয়া যত্ন যথেষ্ট নয়, চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।

ত্বক ও চুলের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণগুলো সামান্য মনে হলেও এগুলোই ভবিষ্যতে বড় জটিলতার ইঙ্গিত দেয়। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচর্যা, সানস্ক্রিন ব্যবহার, সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচন এবং প্রয়োজনে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ—এসব অভ্যাসই আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
সূত্র: স্কিনকেয়ারডটকম
ছবি: এআই