জলপাই তেলের রয়েছে নানা ভেষজ গুণাগুণ। গবেষণা মতে, এই তেল শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য দারুণ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। শুধু কি তাই, জলপাই তেলের রয়েছে আরও নানা গুণ যা ত্বককে বিভিন্ন সমস্যা থেকে সুরক্ষা দেয়।
সুন্দর ত্বকের অধিকারী কে না হতে চায়। জানা যায় রানি ক্লিওপেট্রাও প্রাকৃতিক এই উপাদানটি ব্যবহার করতেন নিয়মিত। এই তেল খাওয়ার পাশাপাশি ব্যবহার করা যায় ত্বক ও চুলে। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, গুড ফ্যাট ও নানা ধরনের ভিটামিন। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
অলিভ অয়েল আর্দ্রতা লক করে ত্বককে নরম রাখে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকে। শীতের সময় যারা ত্বকের শুষ্কতায় কষ্ট পান তারা এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। শুধু তাই নয় ঠোঁট, হাত, পা বা শরীরের যে কোন জায়গায় ফাটা দেখা দিলে। এই তেল ব্যবহারে অল্প সময়েই ত্বক হয়ে উঠবে নরম ও কোমল।
ত্বকে কোথাও যদি ক্ষত হয়, সেখানে অলিভ অয়েল লাগালে সেটি দ্বিতীয় স্কিন ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং ক্ষত সারায়। আর্দ্রতা থাকলে ত্বকের ক্ষত দ্রুত সেরে যায়। এই তেলে আছে ট্রিটারপেনিস ও অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা সংবেদনশীলতা কমায় এবং ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। ত্বকে নতুন কোষ তৈরি করতে, মরে যাওয়া কোষকে নতুনভাবে তৈরি করতে এই প্রোটিন সাহায্য করে। অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা ক্ষতস্থানে ইনফেকশন তৈরি করতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বয়সের ছাপ বাড়তে থাকে। চোখের নিচে কালো হয়ে যায়, চামড়া কুঁচকে যেতে থাকে। বয়সের এ ধরনের ছাপ কমাতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বয়সের ছাপ কমিয়ে তারুণ্যদীপ্ত ত্বক পেতে সাহায্য করে, বাড়ে ত্বকের টান টান ভাব।
অলিভ অয়েলে আছে পলিফেনল নামক এক ধরনের উদ্ভিজ্জ পুষ্টি, যা কোলাজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করে, ত্বকের ভাঁজ কমায়। এই পলিফেনলে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা কোষের সুরক্ষা দেয় এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে তৈরি হওয়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এই স্ট্রেস যদি বেড়ে যায় তাহলে কোলাজেন উৎপাদন কমতে থাকে, সঙ্গে টানটান ভাবও থাকে না, ত্বক বুড়িয়ে যায় দ্রুত। তাই ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখার জন্য অলিভ অয়েল নিয়মিত ব্যবহার করা যায়।
সারা দিন পর বাড়ি ফিরে অবশ্যই ভালোভাবে মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ক্লিনজিং অয়েল বা বাম ব্যবহারের প্রচলন বেশি হলেও, অলিভ অয়েল হতে পারে সবচেয়ে ভালো বিকল্প। কারণ এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। কটন প্যাড বা কটন বলে অয়েল লাগিয়ে মেকআপ পরিষ্কার করা যাবে। এরপর ডাবল ক্লিনজিং করতে হবে।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম