সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর দেখিয়েছেন ব্রণ সারাতে কীভাবে খুশকির শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হয়। ভাইরাল এই ট্রেন্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, মুখে শ্যাম্পু ব্যবহার করা কি আদৌ নিরাপদ।
ভাইরাল বিউটি হ্যাকে বলা হয়েছে, ফাঙ্গাল অ্যাকনে সারাতে এই কৌশলটি কার্যকর। কিন্তু সাধারণত আমরা যেসব ব্রণ দেখি তার বেশির ভাগই ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। ফাঙ্গাল অ্যাকনে একদমই আলাদা। এটি হয় ত্বকে অতিরিক্ত ইস্ট বা ছত্রাকের বৃদ্ধি থেকে। তাই প্রচলিত ব্রণ চিকিৎসা অনেক সময় ফাঙ্গাল অ্যাকনে দূর করতে কার্যকর হয় না।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিকিৎসক ড. কুনাল সুধ একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, কিছু খুশকির শ্যাম্পুতে কেটোকোনাজল বা সেলেনিয়াম সালফাইড জাতীয় উপাদান থাকে, যা অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। অল্প সময়ের জন্য এগুলো মুখে ব্যবহার করলে ফাঙ্গাল অ্যাকনে কমতে পারে।
তবে তিনি সতর্ক করে জানিয়েছেন, এটি সবার জন্য কার্যকর নয়। যেহেতু বেশির ভাগ ব্রণ ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়, তাই খুশকির শ্যাম্পু দিয়ে সেগুলো কমানো সম্ভব নয়। শ্যাম্পুতে থাকা ডিটারজেন্ট মুখের নরম ত্বকে জ্বালা বা শুষ্কতা তৈরি করতে পারে।
যদি কেউ সত্যিই মুখে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চান, তবে বিশেষজ্ঞদের এই পরামর্শ অবশ্যই মেনে চলা উচিত,
* সপ্তাহে একবারের বেশি ব্যবহার না করা ভালো।
* মুখে ১-২ মিনিটের বেশি রাখা উচিত নয়।
* ত্বকে লালচে ভাব, চুলকানি বা অতিরিক্ত শুষ্কতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে।
সব ধরনের ব্রণকে একইভাবে চিকিৎসা করা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের ত্বকের সমস্যার সঠিক কারণ জানতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে অবশ্যই একজন ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ জরুরি। ইন্টারনেটের ভাইরাল হ্যাক সব সময় নিরাপদ নয়।
ছবি: হাল ফ্যাশন ও ইনস্টাগ্রাম