ছেলেদের চুল পড়া সমস্যা সমাধানে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

পুরুষেরা যেহেতু বেশিরভাগ সময় ঘরের বাইরে কাটান, তাই তাদের চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুল কমে আসা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও টিনএজার বা কিশোরদের মাথায় টাক পড়া খুবই বিব্রতকর ও মানসিকভাবে যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার।

চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। রক্তস্বল্পতা, ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া একদম কমিয়ে দেওয়াও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সুষম খাবারের বদলে অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, চকলেট ইত্যাদি খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হয়েও চুল পড়ে যেতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকব্রাশ করে চুল আঁচড়ালে সাধারণত কপাল চওড়া হয়ে যায়। ব্যাকব্রাশ করার কারণে অনেকের মাথায় টাক পড়তেও দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

গবেষণায় দেখা গিয়েছে আমাদের চুল প্রায় ১১১০ দিনের মতো বাঁচে। চুলের জন্য ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ভিটামিনগুলো যেমন খুব দরকার। তেমনই ভিটামিন সি ও ডিও খুব দরকার। কিন্তু অনেকের ধারণা চুলের জন্য ভিটামিন ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চুলে ভিটামিন ই এর পরিমাণ খুবই কম। বর্তমান সময়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য আসলেও সেখানে জাঙ্ক ফুডের পরিমাণ বেশি। যা মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বা প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাই আমাদের চুল পড়া রোধে প্রথমে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া বর্জন করতে হবে। বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও চুল পড়ে যায়। শ্যাম্পুতে থাকে ক্ষার এবং চুল প্রোটিন দিয়ে তৈরি। যখন বারবার চুলে ক্ষার লাগানো হয় তখন প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে চুল ভেঙে যায়। তাই সপ্তাহে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত না। আবার একেবারে শ্যাম্পু ব্যবহার না করলেও চুলে ময়লা জমে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
যারা চুল পড়া ও চুলের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে চিন্তিত, তারা কয়েক মিনিটের জন্য হলেও সপ্তাহে ২-৩ বার মাথায় ভালো মানের কোনো তেল ম্যাসাজ করুন। যেমন-তিলের তেল, বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো আপনার চুলের ফলিকলগুলোকে কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করবে। আর মাথায় নতুন চুল গজানোর জন্য বা চুল ঘন করার উপায় হিসেবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে ভিটামিন ই চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলের ফলিকল উৎপাদনশীল থাকে। এছাড়াও ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্যকর রং বজায় রাখে।

বিজ্ঞাপন

গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা কমে। এজন্য এক কাপ পানিতে দু’টি গ্রিন টি ব্যাগ মিশিয়ে নিন। তারপর তা ঠান্ডা করে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ব্যবহার করুন। ঘণ্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলুন। ৭-১০ দিন একটানা ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা সমাধান হবে।

সব সময় খেয়াল রাখুন মাথার ত্বক যেন বেশি তৈলাক্ত না থাকে। অনেকেরই মাথার ত্বক বেশি ঘামে। ঘামের কারণে মাথার ত্বকে বেশি ময়লা জমে। ফলে পুরুষের চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে। এজন্য অ্যালোভেরা ও নিম যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তাহলে মাথা ঠান্ডা থাকবে ও চুল কম ঘামবে।

ছবি: ইনস্টাগ্রাম

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০: ১৬
বিজ্ঞাপন