১. বালিশের কভার বদলে নিন সিল্ক বা সাটিন কাপড় দিয়ে
তুলার বালিশের সঙ্গে চুলের ঘর্ষণে চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সিল্ক বা সাটিনের ওয়ারে চুল মসৃণভাবে চলাচল করতে পারে, এর ফলে ঘর্ষণ কম হয়, যা চুলের জন্য ভালো।
২. ভেজা চুল নিয়ে ঘুমাবেন না
ভেজা চুল ভাঙার প্রবণতা বেশি থাকে, তাই চুল সম্পূর্ণ শুকিয়ে তারপর ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
৩. ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন
ঘুমের সময় শরীর নিজেকে পুনরুদ্ধার করে, নতুন চুল গজানোর জন্যও হরমোন নির্গত হয়। ভালো ঘুম না হলে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়, যা চুলের ক্ষতি করে।
৪. হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
শুষ্ক বাতাস চুল ভেঙে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তাই ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
৫. ঢিলেঢালা স্টাইলে চুল বেঁধে রাখুন
টাইট খোঁপা বা চুল শক্ত করে বেঁধে ঘুমানো চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই ঢিলা খোঁপা বা পনিটেইল করে ঘুমানো ভালো।
৬. স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন
রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৭. সঠিক ঘুমের ভঙ্গি
মাথার নিচে চুল রেখে ঘুমানো উচিত নয়। বালিশের সঙ্গে ঘর্ষণ কম হয় এমন ভাবে ঘুমানো উচিত। পাশ ফিরে ঘুমালে মাঝেমধ্যে পাশ পরিবর্তন করে চাপ সামঞ্জস্য করা উচিত।
৮. পেপটাইডসমৃদ্ধ হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন
চুলের ফলিকল মজবুত করতে ও ভাঙা রোধে পেপটাইডযুক্ত হেয়ার সিরাম ব্যবহার করতে পারেন, যা চুলের পুষ্টি যোগায় এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
জেনে রাখা ভালো, মেঝেতে কয়েকটি চুল পড়া স্বাভাবিক। কারণ, চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিচক্রের অংশ হিসেবে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি চুল ঝরে পড়ে। তবে এর বেশি হলে তা চুল পড়ার সমস্যা, যা সাময়িক বা স্থায়ী হতে পারে। এটা হতে পারে আপনার বংশগত বৈশিষ্ট্য, খাদ্যাভ্যাস কিংবা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে। এমনকি আপনার বালিশের কাপড় অথবা ঘুমের অভ্যাসও চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
ছবি: পেকজেলসডটকম