ফেস সিরাম ব্যবহারের উপকারিতা
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ফেস সিরাম এখন আর নতুন কিছু নয়। ত্বকের ধরন ও সমস্যা বুঝে ফেস সিরাম নির্বাচন করে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত এর কার্যকারিতা দেখতে পাওয়া যায়। তবে আসুন, সিরাম ত্বকের যত্নের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করার আগে এর সাতটি সুবিধা জেনে নেই।

১. ত্বকে দ্রুত শোষিত হয়

সিরাম খুব হালকা হওয়ায় ত্বকে তা দ্রুত শোষিত হয়। যেহেতু এটি খুবই পাতলা এবং সান্দ্রতা অনেক বেশি, তাই আপনার স্কিন কেয়ার রুটিনের প্রথম ধাপে, অর্থাৎ ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে সিরাম ব্যবহার করুন।

২. সংবেদনশীল ত্বকের সমস্যা দূর করে

সংবেদনশীল ত্বকে অ্যান্টি-এজিং, ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্যতা, শুষ্ক ত্বক, ব্রণ-প্রবণতা—এ রকম বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার জন্য সিরামগুলো বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যেমন রেটিনলযুক্ত সিরাম ত্বকের বলিরেখা হালকা করে, ত্বকের পোরস খুলে দিতে সাহায্য করে। স্কিন-রিনিউয়িং রেটিনল সিরাম আপনার সংবেদনশীল ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আর দাগছোপের বিরুদ্ধে কাজ করা উপাদানযুক্ত সিরাম কার্যকর। নিয়াসিনামাইড ও স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম আপনার ত্বকে ব্রণ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

বিজ্ঞাপন

৩. ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়

ত্বক সব সময় আর্দ্র ও উজ্জ্বল রাখতে নিয়মিত আট গ্লাস পানি পানের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন হাইড্রেটিং সিরাম। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড হলো সিরামের একটি শক্তিশালী ময়েশ্চারাইজিং উপাদান। এটি ত্বক নরম ও মসৃণ রাখে এবং ত্বকে আর্দ্রতা লক করতে ভূমিকা পালন করে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সতেজ দেখায়। রাতে হাইড্রেটিং ফেস সিরাম এবং তারপর ময়েশ্চারাইজার লাগালে পরের দিন আপনি সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক পাবেন।

৪. ত্বকের দাগ কমায়

আপনার ত্বকের রং বা গঠন সুন্দর হতে পারে, কিন্তু ব্রণের দাগ, পিগমেন্টেশন, লাল ছোপ আপনার সামগ্রিক সৌন্দর্যকে কমিয়ে দিতে পারে। এসব অবাঞ্ছিত ত্বকের ত্রুটিগুলো আপনাকে নিখুঁত ত্বক পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে। ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৩, হাইড্রোকুইনোনযুক্ত সিরাম মুখের দাগ হালকা করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক রং উজ্জ্বল করে। এসব উপাদানসমৃদ্ধ সিরাম শুধু আপনার পুরোনো কোষগুলোকে মেরামত করে না, বরং নতুন কোষগুলোর বিকাশে সাহায্য করে।

বিজ্ঞাপন

৫. ব্রণ কমিয়ে দেয়

তৈলাক্ত ত্বক সাধারণত ব্রণপ্রবণ হয়ে থাকে। তৈলাক্ত পণ্য ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে অ্যান্টি–অ্যাকনে ফর্মুলাযুক্ত সিরাম আপনি দৈনন্দিন ত্বকের যত্নে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কারণ, এগুলো বিশেষভাবে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তৈরি করা হয়। সিরামে টি ট্রি অয়েল, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আর স্ট্রবেরির নির্যাসের মতো উপাদানগুলো তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল লক করে দেয়। বিশেষভাবে তৈরি এসব অ্যান্টি-অ্যাকনে সিরামের প্রয়োগ শুধু ব্রেকআউট কমায় না, প্রয়োজনমতো আপনার ত্বকে আর্দ্রতাও ধরে রাখে।

৬. ত্বকের বলিরেখা কমায়

যদি আপনার ত্বক নিস্তেজ হয় এবং আপনি দেখতে পান যে আপনার ত্বকের তারুণ্যকে ছাপিয়ে সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তাহলে আপনাকে অ্যান্টি-এজিং উপাদানসমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে হবে। গ্রিন টি, ফেরুলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং অ্যাটাক্সান্থিনের মতো উপাদানযুক্ত সিরাম আপনার ত্বককে ইউভি রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা অকালবার্ধক্য ও বলিরেখার প্রধান কারণ। রেটিনল রাতে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে তা সাহায্য করতে পারে।

৭. কোলাজেন বাড়ায়

কোলাজেন এমন একটি প্রোটিন, যা ত্বকের নমনীয়তা বাড়ায়। গ্লাইকলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৩ ও জিংকযুক্ত ফেস সিরাম আপনার ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে। এটি ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে এবং সূক্ষ্ম রেখা বা ফাইন লাইনস কমাতে সাহায্য করে। এ–জাতীয় সিরামের অনেক সুবিধার মধ্যে একটি হলো, এটি প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া প্রশমিত করে। অ্যালোভেরা, শিয়া বাটার ও জিংকসমৃদ্ধ সিরাম ত্বকের প্রদাহ প্রশমিত করে।

ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ০০
বিজ্ঞাপন