সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য রাতে গভীর ঘুমের বিকল্প নেই। তবে বাইরের দূষণ, ধুলা-ময়লা আর মানসিক চাপ ভীষণভাবে ত্বকে প্রভাব ফেলে। তখন ত্বকের প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্নের।
গত কয়েক বছরে স্কিন কেয়ারের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে স্লিপিং মাস্ক। কিন্তু রাতের এই যত্ন আসলে কতটুকু সুফল দেয়, তা নিয়ে আছে বিভিন্ন মতামত।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগের এই যত্নে সকালে পাওয়া যাবে নরম ও গ্লোয়িং ত্বক, জানিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারহানা রুমি। মূলত স্লিপিং মাস্কের প্রধান কাজ হলো ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা ও ত্বক আর্দ্র করা।
ঘুমের দীর্ঘ সময়ে স্লিপিং মাস্কের উপাদানগুলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। ত্বকের রোমকূপ থেকে ময়লা বা ধুলা প্রবেশেও বাধা দেয় স্লিপিং মাস্ক। স্লিপিং মাস্ক সাধারণত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ত্বকে রাখতে হয়। ঘুমের এ সময়কে বলা হয় রিপেয়ার সার্কেল। তাই ত্বক মেরামতের জন্য স্লিপিং মাস্কের প্রতিটি উপাদান আলাদাভাবে কাজ করতে থাকে। জেল বা হালকা ক্রিম ফর্মুলার স্লিপিং মাস্ক ত্বকের পোর বন্ধ করে না, বরং ত্বকে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও হাইড্রেটরের জোগান দেয়।
নাইট ক্রিমের বদলে কি স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করা যাবো—এ প্রশ্ন করা হলে ফারহানা রুমি জানান, নাইট ক্রিম ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। আর এই ক্রিম খুব হালকা হয় বলে প্রতি রাতেই ব্যবহার করা যায়। অন্য দিকে স্লিপিং মাস্ক সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট। মনে রাখতে হবে, এই দুটি পণ্য এক নয়।
যাঁদের বয়স ৩০ বছর বা তার বেশি, স্লিপিং মাস্ক তাঁদের ব্যবহার করাই ভালো। এ ছাড়া শুষ্ক ও সাধারণ ত্বকে স্লিপিং মাস্কের উপকার পাওয়া যাবে। অ্যাকটিভ একনেযুক্ত, তৈলাক্ত বা খুব স্পর্শকাতর ত্বকে স্লিপিং মাস্ক ব্যবহারে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া যে মাস্কে অ্যালকোহল আছে, সেটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। এই উপাদান লম্বা সময় ধরে ত্বকে লেগে থাকলে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
সবার ত্বকের ধরন আলাদা হয়। তাই স্লিপিং মাস্ক ব্যবহারের আগে উপাদান দেখে নেওয়াই ভালো। আবার যেকোনো ত্বকের সমস্যায় চিকিৎসা নিতে থাকা অবস্থায় স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করা যাবে কি না, তা অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
ছবি: হাদী উদ্দীন; মডেল: অরা