ভাইরাল সানস্ক্রিন স্টিক সঙ্গে রাখছেন তো? দেখুন এটি কীভাবে কাজ করে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সানস্ক্রিন স্টিক এখন ভাইরাল। ইনফ্লুয়েন্সার থেকে শুরু করে তারকারও এই স্কিনকেয়ার পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন। কিছুদিন আগে বলিউড তারকা শাহিদ কাপুরের সহধর্মিণী মীরা রাজপুত কাপুর নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই পণ্যের ব্যবহার নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। টিকটকেও এই পণ্য নিয়ে রয়েছে হাজার হাজার ভিডিও।

সানস্ক্রিন স্টিক কী

সানস্ক্রিন স্টিক হলো একটি রোল-অন টাইপ সানস্ক্রিন, যা লিপবামের মতো সরাসরি মুখে ব্যবহার করা যায়। তাই ব্যবহারে কোনো ঝামেলা নেই, চিপচিপে অনুভূতি হয় না, আর নেই হোয়াইট-কাস্ট। পাশাপাশি এটি ছোট্ট, পোর্টেবল ও যেকোনো ব্যাগ বা ক্লাচে রাখা যায়। জেন জি থেকে শুরু করে মিলেনিয়াল পর্যন্ত সবার কাছে এটি এখন বেশ জনপ্রিয়। কারণ এটি শুধু ফ্যাশনেবল নয়, বরং অত্যন্ত কার্যকরও।

কেন ব্যবহার করবেন সানস্ক্রিন স্টিক

ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, সানস্ক্রিন স্টিক খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। এবং বিশেষ করে চোখের আশপাশ ও কানের পেছনের মতো জায়গায় নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা যায়। অনেক সানস্ক্রিন স্টিক আবার ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট, ফলে বর্ষা ও গ্রীষ্মে এটি একদম পারফেক্ট।

বিজ্ঞাপন

সানস্ক্রিন স্টিকের কিছু উপকারিতা:

• ঝামেলামুক্ত ব্যবহার: হাতে মাখানোর ঝামেলা নেই। সরাসরি মুখে লাগান আর ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখুন।

• টার্গেটেড কাভারেজ: চোখ, কান, ঠোঁট, এমনকি নাকের পাশের জায়গায় নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা যায়।

• সহজে রি-অ্যাপ্লাই করা যায়: হাত ধোয়ার বাড়তি ঝামেলা নেই। যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় আবার লাগিয়ে নেওয়া যায়।

• সেনসিটিভ ত্বকের জন্য আদর্শ: অনেক স্টিকই মিনারেল বেসড হয়, যেমন জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ। যা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভালো।

সানস্ক্রিন স্টিকের দারুণ কিছু ফিচার:

ছোট হলেও শক্তিশালী: ছোট হলেও এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সুরক্ষা দেয়। ঘাম ঝরলেও চোখে গড়িয়ে পড়ে না।

অফিস বা ভ্রমণে অন-দ্য-গো: বারবার মুখ ধুয়ে আবার লাগানোর দরকার নেই, ব্যাগ থেকে বের করে সরাসরি ব্যবহার করা যায়।

পানি ও ঘাম প্রতিরোধী: অনেক স্টিক ওয়াটারপ্রুফ, সুতরাং সুইমিং বা জিমেও এটি আদর্শ।

ব্রড স্পেকট্রাম সুরক্ষা: ইউভিএ ও ইউভিবি উভয় রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

ছবি: মীরা রাজপুত কাপুর–এর ইনস্টাগ্রাম

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১১: ১৬
বিজ্ঞাপন