ঘরে বসেই করুন ‘ফ্রেঞ্চ পেডিকিউর’
শেয়ার করুন
ফলো করুন

গরমে ত্বকের সুরক্ষা নিয়ে আমাদের চিন্তার অন্ত নেই। সূর্যের আলো যাতে ত্বক স্পর্শ করতে না পারে, সে জন্য বাইরে বেরোনোর আগে প্রতিদিনই আমাদের বেশ জোরদার প্রস্তুতি চলে। সানস্ক্রিন মাখা থেকে শুরু করে মুখে ভালো করে স্কার্ফ জড়িয়ে নেওয়া, প্রস্তুতিতে একবিন্দুও ত্রুটি থাকার সুযোগ নেই। অথচ এত কিছুর মধ্যেও বেখেয়ালে বা সচেতনভাবেই বাদ পড়ে যায় পা। তবে কি গরমের প্রভাব পায়ে পড়ে না, নিশ্চয়ই পড়ে। গরম, রোদ, বৃষ্টির এই আবহাওয়ায় ত্বকের চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পা। সৌন্দর্যসচেতন এমন অনেকেই পায়ের যত্ন নিতে বেমালুম ভুলে যান।

সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল পা ও নখ দৈহিক সৌন্দর্যকে বহু গুণে বৃদ্ধি করে। শুধু সৌন্দর্যবর্ধনেই নয়, হাত-পা ও নখের পরিচ্ছন্নতা ব্যক্তিত্বেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনের কাজকর্মে আমাদের দেহের এই প্রয়োজনীয় অঙ্গটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই পা ও নখের পরিচর্যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। এ ছাড়া গরমে যাঁরা খোলা জুতা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যে বোধ করেন, তাঁদের পা ও নখের প্রতি নেওয়া উচিত বাড়তি যত্ন।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান সময়ে সৌন্দর্যসচেতন মানুষের কাছে পায়ের যত্ন ও সৌন্দর্য রক্ষায় পেডিকিউর বেশ জনপ্রিয়। এর রয়েছে হাজারো ধরন। তবে কয়েক বছর ধরে ফ্রেঞ্চ পেডিকিউর বা ফ্রেঞ্চ পেডিকিউর নেইলস খুবই জনপ্রিয়। ফ্রেঞ্চ পেডিকিউর নেইলস হলো নখ সাজানোর এক বিশেষ পদ্ধতি। অন্য সাধারণ পেডিকিউরের সঙ্গে এর পার্থক্য হলো শুধু যত্ন দিয়ে এই পেডিকিউর শেষ হয় না। এখানে নখের সৌন্দর্যের বিষয়টিও যুক্ত।

ফ্রেঞ্চ পেডিকিউর নেইলস এর বিশেষত্ব হলো পায়ের যত্ন শেষে নখজুড়ে যেকোনো হালকা নেইলপলিশের ব্যবহার এবং তার ওপর নখের ডগায় সাদা নেইলপলিশের একটি সরু লাইন টানা, যা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। ফ্রেঞ্চ পেডিকিউর পায়ের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি নখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং পায়ের ত্বক থেকে মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। এর গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হলো পা ম্যাসাজ বা মালিশ করা। এতে পায়ের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞাপন

অন্য যেকোনো পেডিকিউরের মতো ফ্রেঞ্চ পেডিকিউরও শুরু হয় ক্লিনজিং দিয়ে। এর রয়েছে বেশ কয়েকটি ধাপ—

১. প্রথমেই একটি গামলায় হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে ইপসম লবণ এবং কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু যোগ করতে হবে। এই মিশ্রণে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। ইপসম সল্টের পানি পা শিথিল করে, যার কারণে পায়ের ফোলাভাব কমে যায় ও চামড়া নমনীয় হয়। গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখার প্রক্রিয়া রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এরপর পানি থেকে পা তুলে ব্রাশ বা পিউমিস স্টোন দিয়ে ঘষে মৃত কোষ আর ময়লা তুলে নিতে হবে।

২. এর পরের ধাপে পায়ে ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার দিয়ে কিছুক্ষণ পা, গোড়ালি ও নখ আলতোভাবে মালিশ করে নিলে ভালো। এরপর পছন্দমতো আকারে কেটে নিতে হবে নখ। তবে সর্তক থাকতে হবে, নখে যাতে নেইলস ফাইলারের আঁচড় না লাগে।

৩.পরবর্তী ধাপে নখজুড়ে লাগাতে হবে নেইলপলিশ। ফ্রেঞ্চ পেডিকিউর নেইলস–এ সাধারণত হালকা বা ধূসর রংগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যেমন যেকোনো ন্যুড বা পিচ কালার। পছন্দমতো যেকোনো হালকা রংয়ের নেইলপলিশ ব্যবহার করলেই চলবে। এরপর কয়েক সেকেন্ডের জন্য তা শুকাতে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে এই নেইলপলিশের ওপর দ্বিতীয়বার প্রলেপ দিতে হবে। এতে ফলাফল নিখুঁত আসবে।

৪.এই ধাপে সাদা রংয়ের নেইলপলিশ দিয়ে নখের ডগায় একটি ব্রাশের সাহায্যে সরু লাইন টেনে নিতে হবে।

৫. নেইলপলিশ শুকিয়ে গেলে বরফঠান্ডা পানিতে ১০ সেকেন্ডের জন্য পা ভিজিয়ে নিলে নেইলপলিশ দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে।

তথ্যসূত্র: ভোগ ইন্ডিয়া

ছবি: ইনস্টাগ্রাম ও পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২: ৪১
বিজ্ঞাপন