গরমে ভালো থাকুক চুল
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ফাহমিদা শিকদার

যেখানে তাপ, সেখানেই ঘাম। ঘামের সঙ্গে যোগ হয় স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল। এ তেল চিটচিটে ঘাম ও বাতাসের ধুলাবালু মিশে চুলে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়। দেখা দেয় খুশকি, র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি। চুল দেখায় রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ। চুল ভালো রাখতে এসময় বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।

শ্যাম্পু এবং অন্যান্য

পরিচর্যার প্রথম ধাপ চুল পরিষ্কার রাখা। এ জন্য ঘরে থাকলে সপ্তাহে অন্তত চার দিন চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। আর বাইরে গেলে অবশ্যই প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। মাথার ত্বকের ধরন ও চুলের সমস্যার ওপর নির্ভর করে শ্যাম্পু বাছাই করা উচিত।

চাইলে প্রাকৃতিক ক্লিনজিং উপাদান দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো রিঠা আর শিকাকাই। আগেকার দিনে যখন শ্যাম্পু ছিল না, তখন সবাই এই দুটি ফল দিয়ে চুল পরিষ্কার করত। এতে চুল পরিষ্কার তো হয়ই, সঙ্গে খুশকি, উকুন, চুল পড়াও কমে যায়। গজায় নতুন চুল। রিঠা আর শিকাকাইয়ের শ্যাম্পু বানানোও খুব সহজ। ১৫ থেকে ২০টা রিঠার সঙ্গে ৫ বা ৭টা শিকাকাই কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভেজানো পানির সঙ্গে আরও কিছু পানি মিশিয়ে চুলায় অল্প তাপে ১৫ থেকে ২০ মিনিট জ্বাল দিলেই তৈরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক শ্যাম্পু। এ শ্যাম্পু এক সপ্তাহ ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যাবে।

রিঠা-শিকাকাই শ্যাম্পু ছাড়াও চুল পরিষ্কার করতে ওট মিল্ক অনেক কার্যকর। এক কাপ ওটসের সঙ্গে দুই কাপ পানি মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করলেই তৈরি। পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ওট মিল্ক লাগিয়ে পাঁচ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ওটসে আছে সাপোনিন নামের একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজিং উপাদান, যা স্ক্যাল্পের অবাঞ্ছিত ফ্লেকস ও মৃত কোষ দূর করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুশকি প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করতে পারে সহজে।

বিজ্ঞাপন

চুল শুকানো

চুল পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে ফেলতে হবে। আর শুকানোর জন্য ফ্যানের ঠান্ডা বাতাস সবচেয়ে ভালো। শুধু পানিতে ভেজা চুল নয়, ঘামে ভেজা চুল যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে ফেলতে হবে। কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই ফ্যানের বাতাসে সময় নিয়ে চুল শুকানোকে ঝামেলা মনে করেন। তাই হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে চান। এর গরম বাতাস চুল ড্যামেজ করে থাকে। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে চাইলে কোল্ড এয়ার অপশন দেখে কিনতে পারেন।

চুলে তেল

এ যুগের বেশির ভাগ মেয়েদের চুলে তেল দেওয়াতে অনীহার শেষ নেই। কিন্তু চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবারই সপ্তাহে অন্তত একদিন তেল দেওয়া উচিত। নারকেল, জলপাই, আমন্ড তেল চুলের জন্য অনেক ভালো। এর বাড়তি পুষ্টি ও সুরক্ষার জন্য মেশাতে পারেন লেবু, আমলকির রস, পেঁয়াজের রস বা মধু। সব সময় গোসলের আগে তেল দিতে হয়। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটই যথেষ্ট মাথার ত্বকের গভীরে তেল পৌঁছানোর জন্য। তেল দিয়ে ১০ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে হবে। এতে এর রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ভালো ম্যাসাজ স্ট্রেস কমাতে পারে।

তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি, এল

ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৩, ০৯: ২২
বিজ্ঞাপন