
অন্য যে কোন ধরনের চুলের চেয়ে কোঁকড়া চুলের যত্নের প্রয়োজন হয় বেশি। এবং যত্ন নেওয়াও কিছুটা কষ্টসাধ্য বিষয়। কারণ, কোঁকড়া চুল ভঙ্গুর ও অনেক বেশি শুষ্ক হয়। পাশাপাশি সঠিক যত্ন না নিলে কোঁকড়া চুল দ্রুত দুর্বল হয়ে যায়।

কোঁকড়া চুলের যত্নের প্রথমেই সাবধান হতে হবে শ্যাম্পুর ব্যবহারে। এ ধরনের চুল যেহেতু বেশি শুষ্ক হয়। তাই ধরন বুঝে হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত। শ্যাম্পু করার অন্তত এক ঘণ্টা আগে তেল লাগিয়ে নেয়া উচিত। যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক তেলই ব্যবহার করা যাবে। অনেকেই চুল ঝরঝরে দেখাতে প্রায় প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। যা মোটেই উচিত নয়। এতে চুল আরও শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।

শুষ্ক চুলে সপ্তাহে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। শুধু শ্যাম্পু করলেই চলবে না। নিয়ম মেনে কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নন-কেমিক্যাল কন্ডিশনার কোঁকড়ানো চুলের জন্য বেশ ভালো। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো। যেমন চায়ের লিকার ও ভিনেগার। ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনারও কোঁকড়ানো চুলের জন্য ভালো।
কারও কারও ক্ষেত্রে কোঁকড়া চুল তৈলাক্ত হতে পারে। তাদের জন্য আবার যত্নের ধরন হবে আলাদা। তৈলাক্ত চুলে চাইলে প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। তবে শ্যাম্পু হতে হবে মাইল্ড। তৈলাক্ত চুলে ঘন ঘন বাড়তি তেল না দেওয়াই ভালো। লেমন শ্যাম্পু বেছে নেয়া যেতে পারে।

কোঁকড়া চুল অধিকারীদের মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখাটা বিশেষ জরুরি। কেননা এ ধরনের চুলের গোড়ায় সহজে আলো-বাতাস পৌঁছায় না। ফলে মাথার ত্বক ঘেমে ময়লা হয় এবং খুশকির সমস্যা দেখা দেয়।
কোঁকড়া চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এর ব্যবহারে চুল আরও ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।

চুল ভালো রাখার প্রথম শর্ত হচ্ছে মাথার ত্বক সুস্থ রাখা। এ জন্য নারকেল তেল ও অলিভ অয়েলের ম্যাসাজ দরুন কার্যকর। তেল হালকা গরম করে আঙুল দিয়ে সার্কুলার মুডে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়বে এবং চুল দৃঢ় হবে।
.jpeg?w=640&auto=format%2Ccompress&fmt=webp)
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস তৈরি খুবই জরুরি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে ডায়েটে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস চুলকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে।
ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম