
শিশুদের ত্বকে এমন কিছু মোটেও ব্যবহার করা উচিত নয়, যেগুলো তাদের ত্বকের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শিশুদের ত্বকে সব সময় এমন কিছু সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে, যেগুলো মৃদু, নিরাপদ এবং ত্বকের ভেতর থেকে সুরক্ষা গড়ে তুলতে সক্ষম। আর এখানেই প্রোবায়োটিক ও মাইক্রোবায়োম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমাদের ত্বকের ওপরে ও ভেতরে থাকে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, এদের একসঙ্গে বলা হয় ‘মাইক্রোবায়োম’। এ মাইক্রোবায়োম ত্বকের একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হলেও শিশুর ত্বকে এটি কেবল গড়ে ওঠার পর্যায়ে থাকে। ফলে শিশুদের ক্ষতিকর জীবাণু সহজেই আক্রমণ করতে পারে এবং সংক্রমণ বা অ্যালার্জির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আর প্রোবায়োটিক মূলত একধরনের উপকারী অণুজীব, যা ত্বকের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে। শিশুর ত্বকে প্রোবায়োটিক ব্যবহার করলে ভালো অণুজীবগুলো সক্রিয় থাকে এবং ক্ষতিকর জীবাণুর বিস্তার হ্রাস পায়। ফলে ত্বকের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়। নিয়মিত প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ স্কিন কেয়ার ব্যবহারে ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি, ডায়াপার ব্যবহারজনিত র্যাশ কিংবা অ্যালার্জির মতো সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
যেসব শিশুর ত্বক অ্যালার্জি–প্রোন বা অতিরিক্ত সংবেদনশীল, তাদের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক বিশেষভাবে উপকারী। এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক ব্যারিয়ারকে শক্তিশালী করে। ফলে সামান্য পরিবেশগত পরিবর্তনেও ত্বকে অস্বস্তি তৈরি হয় না। শীতের সময়, যখন ত্বক বেশি শুষ্ক ও খসখসে হয়ে ওঠে, তখন প্রোবায়োটিক ত্বককে ভেতর থেকে সুরক্ষা দিয়ে আরামদায়ক রাখতে সাহায্য করে।
তবে শুধু প্রোবায়োটিকই নয়, শিশুর ত্বকের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ময়েশ্চারও। প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বকের সুরক্ষাব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে তোলে। এতে ত্বক দীর্ঘ সময় নরম, কোমল ও স্বস্তিতে থাকে এবং বারবার লোশন ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
শিশুর ত্বকের জন্য পণ্য বেছে নেওয়ার সময় অবশ্যই তার ফর্মুলা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। পণ্যটি যেন বেবি–সেফ, ডার্মাটোলজিস্ট পরীক্ষিত এবং ক্ষতিকর কেমিক্যাল, প্যারাবেন বা কৃত্রিম রংমুক্ত হয়—এটি নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ, ভুল পণ্য ব্যবহারে শিশুর কোমল ত্বকে দেখা দিতে পারে মারাত্বক সমস্যা। এ ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন মেরিল বেবি ডিপ ময়েশ্চারাইজিং লোশনের মতো পুরোপুরি বেবি-সেফ ফর্মুলায় প্রস্তুত পণ্যগুলো। এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিকের সঙ্গে দুধের প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ ত্বককে রাখে নরম, মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। নিয়মিত ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে প্রোবায়োটিক শিশুর কোমল ত্বককে রাখতে পারে সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ, যা তার স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।