ড্রাই শ্যাম্পুর নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। কিন্তু এটা কীভাবে কাজ করে, এ ব্যাপারে অনেকের জানাশোনা কম। এটি ব্যবহারে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও নিষ্প্রাণ চুল খুব সহজেই সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।
ড্রাই শ্যাম্পু এমন একটি প্রসাধনী, যা চাল, অ্যালুমিনিয়াম বা ট্যাপিওকা (সাগু) স্টার্চ দিয়ে তৈরি হয়। এটি মাথার ত্বকের ময়লা, অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি সাধারণ শ্যাম্পুর মতো পানি দিয়ে ব্যবহার করা লাগে না। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল নিমেষেই সতেজ দেখায়।
বাজারে তিন ধরনের ড্রাই শ্যাম্পু পাওয়া যায়। পাউডার, পেস্ট ও স্প্রে ক্যান। পাউডার ড্রাই শ্যাম্পু মাথার ত্বকে ছিটিয়ে দেওয়ার পর একটু ঘষে দিতে হয়। পেস্ট ফর্মের শ্যাম্পু ক্রিমের মতো হাতে ঘষে মাথার ত্বকে লাগাতে হয়। বাজারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় স্প্রে ড্রাই শ্যাম্পু। এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। ৯ ইঞ্চি দূর থেকে এই ড্রাই শ্যাম্পু স্প্রে করতে হয়।
চুলে সাধারণত সপ্তাহে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। কিন্তু বাইরে ধুলাবালু ও আর্দ্রতার তারতম্যের কারণে যাঁদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের চুল খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিস্তেজ ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। আবার অনেকে জিম শেষে বা ব্যায়াম করার পর মাথা ঘেমে ভিজে যায়। সেদিন হয়তো তাঁর চুল ধোয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। সেই সময় ড্রাই শ্যাম্পু দিয়ে খুব সহজে চুল শুকিয়ে নেওয়া যাবে। চিকিৎসাজনিত কারণে দীর্ঘদিন চুল ধুতে না পারলেও সমস্যা নেই। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই হবে।
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন এটি কেবল মাথার ত্বকের তেলতেলে অংশে ব্যবহার করা উচিত। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের পর ৫ মিনিট অপেক্ষা করে মাথার ত্বক ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর চুল আঁচড়াতে হবে।
মনে রাখতে হবে, ড্রাই শ্যাম্পুকে কোনোভাবে সাধারণ শ্যাম্পুর বিকল্প করা যাবে না। এর কার্যকারিতা থাকে মাত্র ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা। মাথার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য রোজ এটি ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রতিদিন ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি চুলের গোড়া দুর্বল করে চুল পড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে ব্রণ, খুশকির মতো সমস্যা দেখা দেয় অনেক সময়।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম