
জাপান ও কোরিয়ায় চাল ধোয়া পানি ও সেদ্ধ করা ভাত—দুটোর কদরই অনেক বেশি। চলুন জেনে নিই রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে চালে এমন কি আছে, যার জন্য এর এত কদর। আর কীভাবে চকচকে ত্বকের জাদুমন্ত্র হিসেবে একে ব্যবহার করা হয়।

পুষ্টিতে পরিপূর্ণ
চালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি আছে, যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ত্বকের পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যার কারণে বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না।
ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে
চালের গুঁড়া খুব ভালো এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, পোরস আনক্লগ করে, নরম ও কোমল ত্বক পেতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত তেল শোষণ করে
তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে যারা বিড়ম্বনায় আছেন, তারা যদি রাইস মাস্ক ব্যবহার করেন তাহলে অতিরিক্ত তেল তৈরি হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন। পোরস ক্লগ হওয়া থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে বলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
চালে আছে ফেরুলিক অ্যাসিড ও অ্যালানটয়েন এর মতো উপাদান, যা ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে এবং ত্বককে করে মসৃণ।
ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়
চালে আছে অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বককে জ্বালাপোড়ার হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। ত্বকে যদি ব্রণ বা অন্য কোনো সংবেদনশীলতার কারণে লালচে হয়ে যায়, তাহলে রাইস মাস্ক ব্যবহারে আরাম মিলবে।

রোদে পোড়া ত্বকে আরাম দেয়
নিয়মিত বাইরে যাওয়া–আসার কারণে ত্বক রোদে পুড়ে যায়, লালচে হয়ে যায় বা চুলকায়। এমন ত্বকে চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করলে ত্বক যেমন আরাম পাবে, তেমনই হয়ে উঠবে টান টান।
যেভাবে বানাবেন রাইস ফেইস মাস্ক
২ চা–চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ দুধ বা গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এক চিমটি হলুদও মেশাতে পারেন। এবার মিশ্রণটি ভালোভাবে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫–২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু–তিন দিন এভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

চাল ধোয়া পানি যেভাবে তৈরি করবেন
একটি বাটিতে এক কাপ চাল নিয়ে ২–৩ কাপ পানি দিয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। চাল থেকে পানি আলাদা করে নিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করুন। এভাবে সাত দিন পর্যন্ত চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করা সম্ভব।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম