ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলের যত্নের ধরন ও রুটিনের ওপর নির্ভর করে আপনার চুলের স্বাস্থ্য। চুলের যত্নে রাত্রিকালীন রুটিনে কিছু বিষয় মেনে চললে চুল হবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
সারা দিন চুলের ওপর অনেক ধকল যায়। সময়ের অভাবে বারবার চুল পরিপাটি করে রাখা সম্ভব হয় না। জট বেঁধে যায় তখন। তাই ঘুমানোর আগে অবশ্যই চুল সুন্দরভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। জট খোলার জন্য মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চুলের গোড়ায় চাপ কম পড়বে।
চুল আঁচড়ানোর পর আলগা বিনুনি করতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে অয়েল ম্যাসাজ করা যেতে পারে। রাতে চুলে তেল দিলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। তেল না দিতে চাইলে, পরিবর্তে সিরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। সিরাম চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
ঘুমানোর সময়ে চুলে সিল্ক বা স্যাটিন কাপড় বেঁধে ঘুমালে ভালো ফল পাওয়া যায়। যদি এগুলোর কিছুই সম্ভব না হয়, তাহলে স্যাটিন কিংবা সিল্ক কাপড়ের ওয়াড়যুক্ত বালিশে ঘুমাতে পারেন। এতে করে বালিশে ঘর্ষণের ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
ভেজা কিংবা স্যাঁতসেঁতে চুল নিয়ে কখনোই ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়। এতে চুলে ফাটল ধরতে পারে। কারণ চুল ভেজা অবস্থাতেই সবচেয়ে ভঙ্গুর থাকে। ঘুমের আগে চুল ধুতে হলে হেয়ার ড্রায়ারে চুল শুকিয়ে তারপর ঘুমান। ভেজা চুলে ঘুমালে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পার্লার কিংবা স্যালনে গেলে হেয়ার স্পেশালিস্টরা স্ক্যাল্প ম্যাসাজ দিয়ে থাকেন। কারণ এতে মাথার আরাম ও উপকার হয়। স্ক্যাল্প ম্যাসাজের ফলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চেষ্টা করুন একটু সময় বের করে নিজেকে একটা দারুণ স্ক্যাল্প ম্যাসাজ দিতে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) অনুসারে, স্ক্যাল্প ম্যাসাজের ফলে আপনার চুলের গোড়ার স্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়। মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। বাড়তি পাওনা হিসেবে ঘুম ভালো হয়।
ওপরের এই নিয়মগুলো মেনে চললে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে। অপরিষ্কার চুল মাথার ত্বক দুর্বল করে ফেলে। ফলে খুশকি হওয়া কিংবা চুল পড়ার মতো সমস্যাগুলো থেকেই যায়। খেয়াল করে প্রতি রাতে অবশ্যই চুলের সঠিক যত্ন নিশ্চিত করে ঘুমাতে যাওয়া উচিত।