ত্বকে যাঁদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য গরম যেন আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে। গরমে ত্বকে ব্রণ ওঠার প্রবণতা কমাতে রূপ-রুটিনের ব্যাপারে হতে হবে সতর্ক। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব, ঘাম ইত্যাদি কারণে ব্রণের সমস্যা এ সময় প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। বাইরে না বেরিয়ে উপায় নেই। তাই দূষণের উপদ্রবে দিনভর ত্বক পরিষ্কার রাখাও বড়ই কঠিন।
রূপ বিশেষজ্ঞরা সারা বছরই সানস্ক্রিন কিংবা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে বলেন কিন্তু অনেক সময় এগুলোর ভুল ব্যবহার ও ত্বকে ময়লা জমার কারণে রোমকূপের মুখ আটকে যায়। এর ফলেই ব্রণ হয়। তবে একটু নিয়ম মেনে চললে মিলবে সমাধান। রূপবিশেষজ্ঞ ফারহানা রুমি জানিয়েছেন এ সময় ব্রণ প্রতিরোধ করতে ধাপে ধাপে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়।
১. মুখত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে সবার আগে। গরমকালে দিনে দুবার ফোমিং ফেসিয়াল ক্লিনজার ব্যবহার করা দরকার। খুব ঘন ঘন মুখ ধোয়ার দরকার নেই। এতে ত্বকের স্বাভাবিক তেল হারিয়ে শুষ্ক ভাব তৈরি হতে পারে। ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং প্রোডাক্ট বেছে নিতে হবে।
২. সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এটা ভুললে চলবে না। এ সময় ভারী লোশন কিংবা ক্রিম ব্যবহার করা উচিত না। কারণ, এতে ত্বকের রোমকূপ সহজেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই হালকা ময়েশ্চেরাইজার কিংবা জেল ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
৩. করোনা আসার পর থেকে কম বেশি সবারই এখন নিত্যসঙ্গী মাস্ক। এই মাস্ক থেকেই ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হতে পারে। মাস্ক দিয়ে ঢাকা অংশটুকুতে তাপমাত্রা বেড়ে যায়, আর্দ্রতাও আটকে থাকে। প্রথমত, অবশ্যই পরিষ্কার বা, ধোয়া মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক খোলার পর মুখ ধুয়ে হালকা ময়েশ্চারাইজার দিতে হবে।
৪. ত্বকের সবচেয়ে উপকারী বন্ধু পানি। গরমে শরীরের পাশাপাশি ত্বককেও রাখতে হবে হাইড্রেটেড। তাই প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। মৌসুমি ফলের রস, ডাবের পানি পান করলে সঙ্গে মিলবে বাড়তি ভিটামিন।
৫. সারাদিন পর বাইরে থেকে বাসায় ফিরে আলস্য ত্যাগ করে আগেই নিয়ম মেনে মেকআপ তুলে ফেলে মুখত্বক পরিষ্কার করে নিয়ে তবেই ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
৬. সর্বোপরি খাদ্যতালিকায় প্রচুর ফলমূল, শাকসবজি, মাছ ইত্যাদি রাখতে হবে। তেলজাতীয় ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ঘুমের রুটিনও হতে হবে সুশৃঙ্খল।