এখন থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে নারায়ণগঞ্জে শুরু হয় সাত রঙের যাত্রা। এই শহরেই আছে তাদের ৪টি আউটলেট। এ ছাড়া গত ১০ বছরে অনলাইনে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে তারা। প্রতিবছর উৎসব উপলক্ষে নতুন নতুন সংগ্রহ নিয়ে আসে সাত রঙ। এবার পূজা উপলক্ষেও তারা এনেছে ভিন্নধর্মী বৈচিত্র্যময় সংগ্রহ।
পূজাকে কেন্দ্র করে বেশির ভাগ ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ দিয়ে তাদের সংগ্রহ সাজায়। সেদিক থেকে সাত রঙ এবার একটু ভিন্ন পথে হেঁটেছে। পূজায় শিশুদের জন্য একটি বর্ণিল সংগ্রহ নিয়ে এসেছে তারা। সাত রঙের কর্ণধার ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘নতুন সংগ্রহে আমরা শিশুদের পোশাককে এবার গুরুত্ব দিয়েছি ব্যাপক আকারে। বড়দের পোশাক নিয়ে কমবেশি সবাই ডিজাইন করে এবং এটা কিছুটা হলেও সহজ বলা যায়।
কিন্তু শিশুদের পোশাক নিয়ে কাজ করে অল্প কিছু ব্র্যান্ড। কিন্তু তা আমার কাছে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল মনে হয়। দেশীয় পোশাকে যদি শিশুদের অভ্যস্ত করাতে পারি, তাহলে তারা ভবিষ্যতেও দেশীয় পণ্য ব্যবহারে আগ্রহী হবে।’ শিশুদের পোশাকের পাশাপাশি শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজও আছে।
সাত রঙের সিগনেচার হলো টাই-ডাই বাটিক। পূজার নতুন সংগ্রহের পোশাকগুলোয় বাটিকের বৈচিত্র্যময় ব্যবহার হয়েছে। শিশুদের পোশাকেও বাটিক ও ব্লক দিয়ে ফিউশন করা হয়েছে।
যেহেতু শিশুদের পোশাক, তাই তাদের কথা মাথায় রেখে উজ্জ্বল রংকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তাই সাত রঙের নতুন সংগ্রহ সেজেছে লাল, বাসন্তী, নীল, সাদা, হলুদ, সবুজ রঙে।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড সাত রঙের আরেকটি সিগনেচার হলো সুতি কাপড়। আমাদের দেশের আবহাওয়া ও ঐতিহ্যের কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ১০০ ভাগ সুতি কাপড়ের পোশাক তৈরি করে আসছে তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নতুন সংগ্রহের সব পোশাকই উচ্চমানের সুতি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।