শুরু হয়েছে টেক্সটাইল খাতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘ইনটেক্স সাউথ এশিয়া’। করোনা মহামারির পর এই প্রথম বাংলাদেশে শুরু হয়েছে টেক্সটাইল খাতের এই বৃহৎ প্রদর্শনী। সরাসরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে পুনরুজ্জীবিত করতেই এ আয়োজন। আয়োজক হিসেবে রয়েছে ওয়ার্ল্ডডেক্স ইন্ডিয়া এক্সিবিশন অ্যান্ড প্রমোশন প্রাইভেট লিমিটেড।
প্রদর্শনীটি চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ, ভারত, কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের প্রায় ১২০টি প্রতিষ্ঠান।
প্রদর্শনীতে বিজেএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির তত্ত্বাবধানে একটি স্টল বসেছে। শিক্ষক ও ছাত্রদের কাজগুলো চোখে পড়ার মতো। প্রদর্শনীতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ফেব্রিকের তৈরি পোশাক। এর মধ্যে জামদানি ফেব্রিক, ডেনিমের ওপর জামদানি লেজার প্রিন্টিং, লুঙ্গি প্রিন্ট, পিনন ফেব্রিক, খাদির ওপর কাঁথা স্টিচ ও টাঙ্গাইলের তাঁত উল্লেখযোগ্য।
শেষ বর্ষের ছাত্র আল আমিন কাজ করেছেন টাঙ্গাইলের তাঁত নিয়ে। পোশাকের জমিনে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন সুন্দরবন নিধনের চিত্র। রয়েছে বাঘ, হরিণ, রামপাল বিদ্যুৎ নিয়েও কাজ। তবে তাঁতিদের থেকে থান কাপড় কিনে তৈরি হয়নি কালেকশনটি। ডিজাইনার তাঁতিদের কাছে গিয়ে মোটিফ অনুযায়ী ফেব্রিক ডেভেলপ করে তারপর কালেকশনটি তৈরি করেছেন।
এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বস্ত্র ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক তৈরি হলো, যা দেশের বস্ত্রশিল্পের জন্য একটি বড় সম্ভাবনা বলে মনে করছেনআয়োজকেরা।
তাঁদের আশা, ইনটেক্স সাউথ এশিয়া উদ্ভাবনী ও চাহিদামতো পোশাক, ফাইবার, সুতা ও পোশাকশিল্পের জন্য আনুষঙ্গিক সফটওয়্যার ও ইআরপি সলিউশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহায়তার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে।