হাল ফ্যাশন ডেস্ক
রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীর কারুশিল্পীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এক সহায়তা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে আরএপি (ডিজাইন ইন বাংলাদেশ)। ইউনেসকোর বাংলাদেশ জাতীয় কমিশন প্রকল্পটিতে বিশেষ সহায়তা করছে।
আয়োজনে বলা হয় ফ্যাশন, বিশেষ করে টেকসই ফ্যাশনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কারুশিল্পীদের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে ও তাঁদের পাশে থাকতেই তৈরি হয়েছে প্রকল্পটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেসকোর জাতীয় কমিশনের উপমহাসচিব মো. সোহেল ইমাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনেসকোর অফিসার ইন-চার্জ সুজান ভাইজ, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির সহ–উপাচার্য আইয়ুব নবী খান, বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সাভারটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়সাল সামাদ ও ইউনেসকোর বাংলাদেশের জাতীয় কমিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তাজউদ্দীন আহমেদ।
টিম আরএপির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রোকাইয়া আহমেদ পূর্ণা, সহপ্রতিষ্ঠাতা মো. জুবায়ের হোসেন ও টিমের অন্য সদস্যরা।
ফয়সাল সামাদ ও আইয়ুব নবী খান উভয়ই পূর্ণার সৃজনশীলতা ও নতুন কিছু করার আগ্রহের প্রশংসা করেন এবং এই প্রকল্পের সাফল্য কামনা করেন।
আলোচনায় হেরিটেজ টেক্সটাইলকে সমসময়ের বাজার চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার, এসব টেক্সটাইল দিয়ে বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরির সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। আলোচকেরা সৃজনশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে ফ্যাশনে নতুন মাত্রা তৈরির মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেন।
তবে বাংলাদেশে থাকার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সুজান ভাইজ এই প্রকল্পে ইউনেসকোর সম্পৃক্ততার কথা বলেন। এমনকি এই কাজ যাতে আরও সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়, তার জন্য শুভকামনাও জানান।
এ প্রকল্পে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেপথ্যের কারণ জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতেও সহায়তার আশ্বাস দেন মো. সোহেল ইমাম খান।
সৃজনশীল শিল্পের প্রসারের জন্য হেরিটেজ টেক্সটাইলের প্রচার, কারিগরদের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রকল্প, গবেষণা, নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নিয়েছে আরএপি।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রান্তিক কারুশিল্পীদের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন পৃশা চাকমা, তৃষ্ণা তঞ্চৈংগা, সুমি তঞ্চৈংগা ও মংচং আরকে অভি। তাঁরাও তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। বিশেষ করে তৃষা ও সুমি প্রথম ঢাকায় আসার কথাও বলেন। তাঁর বক্তব্যে আরও জানা যায়, আরএপি কীভাবে তাদের কর্মসংস্থান ও সৃজনশীল কারুপণ্য বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সূচনা বক্তব্যে রোকাইয়া আহমেদ পূর্ণা এ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, তাঁর সংগঠন করেনাকালে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা নিয়ে।