সুকৃষির সঙ্গে সরকারের চুক্তি, কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়নে নতুন দিগন্ত
শেয়ার করুন
ফলো করুন

দেশে কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিকাশে, বিশেষ করে যুবসমাজ ও নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টেমন্ট অব এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং (ডিএএম) এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা
সুকৃষির সুপণ্য ব্র্যান্ডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডকুমেন্ট হস্তান্তর
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডকুমেন্ট হস্তান্তর

মঙ্গলবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিএএমের আওতাধীন
প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ–এর এজেন্সি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল ফারুক এবং সুকৃষির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ বাতেন খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।

বিজ্ঞাপন

এই চুক্তির মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মূলত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি করাই এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার যুবক ও নারীদের কৃষি ব্যবসায় যুক্ত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই আয়ের সুযোগ তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের আগে মত বিনিময়
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে মত বিনিময়

চুক্তি অনুযায়ী, সুকৃষি সম্ভাবনাময় কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করবে। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরও উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করা হবে, যাতে তারা বাস্তব ক্ষেত্রে সফলভাবে নিজেদের উদ্যোগ পরিচালনা করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারে পণ্য বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। সুকৃষির নিজস্ব সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমে এসব উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারসংযোগ নিশ্চিত করার বিষয়টি চুক্তিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষি উদ্যোক্তারা ন্যায্যমূল্য পাওয়ার পাশাপাশি টেকসই ব্যবসা গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।

অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা
অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ সমঝোতা স্মারক কৃষি খাতে উদ্যোক্তা উন্নয়নে একটি কার্যকর মডেল হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দেশের সামগ্রিক কৃষি বিপণন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ছবি: সুকৃষি

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪: ০৮
বিজ্ঞাপন