এর আগে ফ্রান্সের বিখ্যাত প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান ল’রিয়ালের উত্তরাধিকারী ফ্রাঁসোয়াজ বেটেনকুর মেয়ার্স টানা চার বছর এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন। কিন্তু ২০২৫ সালে তাঁর সম্পদ কমে ৮১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার হওয়ায় তিনি দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।
অ্যালিস ওয়ালটনের সম্পদ বাড়ার মূল কারণ ওয়ালমার্টের শেয়ারের দাম ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া। ফোর্বসের মতে, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ কম দামে পণ্য কেনার জন্য ওয়ালমার্টে ভিড় করছে, এতে কোম্পানির লাভও বেড়েছে। অন্যদিকে ল’রিয়ালের শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় ফ্রাঁসোয়াজ বেটেনকুর মেয়ার্সের সম্পদ কমে গেছে।
২০২৫ সালের ফোর্বস তালিকায় অ্যালিস ওয়ালটন বিশ্বের ১৫তম ধনী ব্যক্তি। তিনি তাঁর দুই ভাই রব ওয়ালটন (১১০ বিলিয়ন ডলার) এবং জিম ওয়ালটনের (১০৯ বিলিয়ন ডলার) থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন।
টেক্সাসের ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করে অ্যালিস ওয়ালটন ক্যারিয়ার শুরু করেন ওয়ালমার্টের শিশুদের পোশাক বিভাগে ক্রেতা হিসেবে। এরপর তিনি ইএফ হাটন কোম্পানিতে স্টক ব্রোকার হিসেবে কাজ করেন এবং পরবর্তী সময়ে আরভেস্ট ব্যাংকের বিনিয়োগ শাখায় যোগ দেন।
১৯৯৮ সালে তাঁর নিজস্ব লেনদেন সংস্থা লামা (Llama) বন্ধ হয়ে গেলে তিনি টেক্সাসে ফিরে যান এবং শিল্প সংগ্রহের প্রতি মনোনিবেশ করেন। ২০১১ সালে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ক্রিসাল ব্রিজেস অব আমেরিকান আর্ট।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম