স্কুল-কলেজে পূজার ছুটি শেষে প্রথম ক্লাসে হিন্দুধর্মাবলম্বী বন্ধুদের কাছে নাড়ু চাওয়া, সেই নাড়ু নিয়ে কাড়াকাড়ি করার স্মৃতি আমাদের সবার। পূজা মানেই যেন নারকেলের নাড়ু, তালের নাড়ু, গুড়ের নাড়ু, সঙ্গে খাস্তা-গজা। নানান পদের নাড়ুই শুধু নয়, পূজায় চাই নানা রকম মিষ্টি।
এদিকে দেবীকে বরণ করতে হয় পাঁচ থেকে সাত রকম মিষ্টি দিয়ে। শুধু দুর্গাপূজা নয়, অন্য পূজাতেও দেবদেবীকে মিষ্টি নিবেদনের প্রচলন আছে। মিষ্টি ছাড়া ফলও নিবেদন করা হয়। তবে ফল কাটার অনেক নিয়ম আছে। সেই ঝামেলা এড়াতে মানুষজন তাই মিষ্টি নিবেদন করে থাকেন। আর মিষ্টি আনন্দের প্রতীক হওয়ায় ভক্তদের মধ্যেও মিষ্টি দিয়ে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। তাই মিষ্টির দোকানে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি চাপ থাকে ক্রেতাদের।
পূজা উপলক্ষে একদিকে যখন চলে পোশাক-আশাক ও সাজগোজের হিসাব, অন্যদিকে ভোজনরসিকেরাও অপেক্ষায় থাকেন লোভনীয় মিষ্টির। কয়েক বছর আগেও পূজার সময় বাড়িতে বাড়িতে হিড়িক পড়ত মিষ্টি তৈরির। আর মা-ঠাকুমার হাতে বানানো মিষ্টির স্বাদই হয় অন্য রকম। এখন সেই চর্চা প্রায় নেই বললেই চলে। বরং দোকান থেকেই কিনে আনা হয় মিষ্টি। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের অনেকেই এখন ঘরেই তৈরি করছেন দারুণ সব মিষ্টি।
ঘরের স্বাদের মিষ্টির চাহিদা পূরণ করতে আশা ফুড তৈরি করছে জিবে জল আনা সব মিষ্টি। মোট ৫৫ রকম মিষ্টি ও দই তৈরি করে থাকে তারা। আছে গোলাপজাম, জাফরান ভোগ, দুধমালাই, স্পেশাল মিনি চমচম, রসগোল্লা, বাসমতী স্পেশাল জর্দা, কমলাভোগ, লাড্ডু, মালাইকারিসহ আরও অনেক মিষ্টি।
আশা ফুডের স্বত্বাধিকারী আসমা খাতুন জানান, ‘আশা ফুড নিয়ে কাজ করছি বহুদিন। বাড়ির স্বাদটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। পূজার সময় মিষ্টির চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। বাজারে তখন মিষ্টি বেশি এলেও স্বাদটা অনেক সময় ঠিক থাকে না। আর আমরা সুগারফ্রি মিষ্টিও করে থাকি।’
ছবি: আশা ফুডস