বাঙালি খাবারের আবেদন চিরন্তন। আবার বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফাইন ডাইনিংয়েও বাঙালি খাবারের ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে দেশে-বিদেশে। বাঙালি খাবারের অনুরাগীদের জন্য সুসংবাদ হচ্ছে, ঢাকার হোটেল সারিনা আয়োজন করছে বাঙালি খাবারের বর্ণাঢ্য উৎসব ‘ভোজে বাঙ্গালী’। চলতি মাসের ৫ অক্টোবর শুরু হওয়া উৎসবটি চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত সাড়ে দশটা অবধি এখানে বাঙালি খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে পাঁচ তারকা হোটেলের আবহে।
এই উৎসবে এপার ও ওপার বাংলার আদি ও অকৃত্রিম খাবারের পদগুলো পরিবেশন করা হচ্ছে। ১২০টি পদের সমন্বয়ে এই বাঙালি খাবারের মেনুটি তৈরি হয়েছে। এখানে ভোজনরসিকদের সুবিধার্থে ছয়টি কাউন্টার, দুটি লাইভ সেকশন ও একটি বেভারেজ কাউন্টার থাকছে। অনুষ্ঠানস্থলটি রিকশা পেইন্টসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ডেকোরেশনে সাজানো হয়েছে।
এখানে আছে বৈচিত্র্যময় সব খাদ্য কাউন্টার। ঢাকাই স্ট্রিট ফুড কর্নারে আছে মসলা মুড়ি, দইবড়া, কলিজা শিঙাড়া, ফুচকা ইত্যাদি৷ ভাত-ভর্তা এবং মোগলাই কাবাব কর্নারও রয়েছে। কাবাব কর্নারে পাওয়া যাচ্ছে মাটন শিক কাবাব, তন্দুরি মুর্গ, মুরগির বটি কাবাব, মুরগির চাপ, খাসির বুরাহ কাবাব ইত্যাদি। সঙ্গে আছে নান, চাটনি ও রায়তা।
নবান্ন পিঠা স্টলে আছে চিতই, সাঁচের পিঠা, তিলপিঠা, পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, দুধপুলি পিঠা ইত্যাদি। মুড়ির মোয়া, খোয়াই, গজা, নকুলদানাও রয়েছে। মিঠাই কাউন্টারে আছে কাঁচাগোল্লা, মহিষের দুধের দই, শাহি টুকরা, লাপজাম, রেশমি জিলাপি ইত্যাদি।
সবার রুচির কথা ভেবে আন্তর্জাতিক কাউন্টার রাখা হয়েছে, যেখানে মিলবে স্যুপ, সঁতে করা সবজি, গ্রিলড ফিশ, পাস্তা ইত্যাদি৷ পানীয় কাউন্টারে রয়েছে লেবুর শরবত, লাচ্ছি, বেলের শরবতের মতো দেশি শরবত। এ ছাড়া আনলিমিটেড আইসক্রিম তো আছেই।