খাবার যতই সুস্বাদু হোক না কেন, মায়ের হাতের রান্নার তুলনা হয় না। কারণ মায়ের রান্নায় মিশে থাকে ভালোবাসা, যত্ন, মমতা আর স্নেহ নামের আলাদা কিছু মসলা। সেই ছোটবেলা থেকেই তাই মায়ের হাতের খুব সাধারণ রান্নার ঘ্রাণও মনে গেঁথে থাকে । রান্নায় শর্ষের তেলের তীব্র ঝাঁজ, পাতলা ঝোলে আলু দিয়ে মুরগী, নানান পদের ভর্তা বা পাঁচফোড়ন দিয়ে রান্না করা ডাল- বাংলাদেশের ঘরে ঘরে প্রতিদিন রান্না করা এমন সব সাধারণ খাবারই সবচেয়ে প্রিয় করে তোলেন মায়েরা। এজন্য প্রত্যেক সন্তানের কাছেই তার মায়ের রান্না হয়ে ওঠে সবচেয়ে স্পেশাল।
যারা এখন কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্য বাড়ির বাইরে থাকেন, আনন্দ-বিষাদে মাকে কাছে পান না তাদের কাছে মা দিবস এর অনুভূতিটা হয় আরও তীব্র। নানাভাবে মাকে খুঁজে ফেরেন তারা। কেউ মায়ের প্রিয় গান শোনেন, কেউ খাবারের টেবিলে রাখেন মায়ের রান্না করা প্রিয় পদ। আবার কেউবা পুরনো ছবি দেখে স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান। স্যোশাল মিডিয়ার এ যুগে মাকে নিয়ে স্মৃতিকথা লেখেন অনেকে। অনেকেই মায়ের হাতের খুব সাধারণ পদের রান্নার স্বাদ খোঁজেন। কেউ আবার বাইরে খেতে যান। তবে মা দিবসে যারা মায়ের হাতের খুব সাধারণ রান্নার খোজ করেন তাদের জন্য দারুণ একটি বিকল্প হতে পারে ফুডপ্যান্ডার হোমশেফ।
ফুডপ্যান্ডার হোমশেফ হিসেবে রয়েছেন এমন কিছু মানুষ যারা পেশাদার রেস্তোরাঁর বাবুর্চি নন। অনেকেই নিজে মা বা পরিবারের সবথেকে অভিজ্ঞ রাঁধুনি। নিজের ঘর থেকেই তারা তৈরি করছেন সেই চিরচেনা স্বাদের খাবার। যেসব খাবার আমাদের শৈশবের স্মৃতিকে জাগিয়ে তোলে।
ফুডপ্যান্ডার হোমশেফ থেকে নিয়মিত খাবার অর্ডার করেন সাদিক ইভান। বাড়ি ছেড়েছেন প্রায় এক যুগ। এখন ঢাকাতেই থাকেন। তিনি জানালেন, 'শৈশবে আমি দাদু-দাদির কাছে থেকেছি। দাদির হাতের খুব সাধারণ রান্নার স্বাদও ছিল অতুলনীয়। ঢাকায় এসে সেই স্বাদটাই সবচেয়ে বেশি মিস করতাম। যখন প্রথম ফুডপ্যান্ডার হোমশেফ থেকে খাবার আনালাম, তখন মনে হলো যেন সেই পুরোনো স্বাদটা আবার ফিরে এসেছে'।
এ বছরের মা দিবস উপলক্ষে ফুডপ্যান্ডার এমন কিছু হোমশেফের খোজ দেওয়া হলো যাদের রান্নায় মায়ের হাতের রান্নার তৃপ্তি কিছুটা হলেও মেটানো যেতে পারে। মাফিয়াস কিচেন, হট অ্যান্ড স্টিমি, হ্যালো শেফ, থ্রি ফিঙ্গার্স কিচেন এবং ভর্তার মেলা নামের এই হোমশেফদের রান্না এখন ফুডপ্যান্ডার মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক শিক্ষার্থী, তরুণ পেশাজীবীর ডাইনিং টেবিলে, কখনও বা অফিস ডেস্কে।
হ্যালো শেফ
রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে ফুডপ্যান্ডার হোমশেফ হিসেবে খাবার বিক্রি করছেন পিংকি ছেত্রী। বসুন্ধরার হ্যালো শেফ থেকে কেনা যাবে মেজবানি গরুর মাংস, কালা ভুনা, সোনালি মুরগির ঝাল ভুনা এবং আলুর দম এর মতো খাবার।
২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৯০ টাকায় এসব খাবার কেনা যাবে। এছাড়া খাবার অর্ডারে ১৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
মাফিয়াস কিচেন
যশোরে ফুডপ্যান্ডার হোমশেফ হিসেবে খাবার বিক্রি করছেন মাফিয়া ফারজানা। ঘরে তৈরি যেসব খাবার আমরা নিয়মিত খাই সেসব খাবারই তিনি রেখেছেন তার কিচেনে। এখান থেকে ভুনা খিচুড়ি, কলিজা ভুনা, ডিম ভুনা, মুরগির মাংস ভুনা, গরুর মাংস কেনা যাবে।
৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২৭০ টাকায় এসব খাবার কেনা যাবে। এছাড়া খাবার অর্ডারে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
হট অ্যান্ড স্টিমি
রাজধানীর উত্তরায় চাইনিজ ঘরানার খাবার বিক্রি করেন মাসহুদুল ইসলাম মাসহুদ। হট অ্যান্ড স্টিমি নামের এ কিচেন থেকে বাসিল লিফ চিকেন, স্টিম অন্থন, চিকেন কনজি ও ফ্রাইড রাইস কেনা যাবে।
২৯ টাকা থেকে শুরু করে ৩৯৯ টাকায় এসব খাবার কেনা যাবে। এছাড়া খাবার অর্ডারে ১৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
থ্রি ফিঙ্গার্স কিচেন
রাজধানীর উত্তরায় হোমশেফ হিসেবে খাবার বিক্রি করেন রিজু আহমেদ। সাদা ভাত, বুটের ডাল, ঝাল মুরগির কষা, লইট্টা শুঁটকি কষা ও নানারকম ভর্তা পাওয়া যায় তার কিচেনে।
২৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকায় এসব খাবার কেনা যাবে। এছাড়া খাবার অর্ডারে ২০ শতাংশ ছাড়ও পাওয়া যাচ্ছে।
ভর্তার মেলা
রাজধানীর ধানমন্ডিতে হোমশেফ হিসেবে খাবার বিক্রি করছেন খোশনা বেগম। সোনালি মুরগির ঝাল ভুনা, টমেটো, বেগুন, চিংড়ি ও চেপা শুঁটকি ভর্তা'র মতো বাড়িতে রান্না করা খাবার কিনতে পাওয়া যায় তার কিচেনে।
৪৫ টাকা থেকে শুরু করে ২৩০ টাকায় এসব খাবার কেনা যাবে। এছাড়া খাবার অর্ডারে ১০শতাংশ ছাড়ও পাওয়া যাচ্ছে।
ছবি: ফুডপ্যান্ডা