বিজয় দিবসের মেলায় আদিবাসী খাবারের উৎসব: ‘আদিহাট’-এ স্বাদ, গল্প আর ঐতিহ্যের মিলন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

পল্লবী থানার বিপরীতে স্বপ্ননগর আবাসিক-১ এর মাঠে ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই মেলায় আদিহাট হাজির হয়েছিল পাহাড়ের প্রকৃতি আর আদিবাসী খাদ্যসংস্কৃতির আসল স্বাদ নিয়ে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির পাহাড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে লালিত হাঁস, মোরগ ও মুরগি ছিল তাদের অন্যতম আকর্ষণ। রাসায়নিকমুক্ত পাহাড়ি ফলমূল ও সবজি, সঙ্গে হলুদ ও মরিচের গুঁড়ার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ—সবই ছিল বিশুদ্ধ ও প্রাকৃতিক।

স্টলে স্টলে পাহাড়ের গল্প

আদিহাটের স্টল যেন ছিল ছোট্ট এক পাহাড়ি রান্নাঘর। দর্শনার্থীরা সেখানে পেয়েছেন আদিবাসী ব্যাম্বো চিকেন, বাঁশ কোরলের আচার, রোজের চা, ট্র্যাডিশনাল পিঠা, কালো বিন্নি চালের ফিরনি আর মোমোসের মতো বিশেষ খাবার।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্বাদ—যশোরের খেজুরের গুড়, খুলনার চুই ঝাল, কক্সবাজারের নানা ধরনের শুটকি। সব মিলিয়ে এক স্টলেই যেন ঘুরে দেখা যাচ্ছিল বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের খাদ্য ঐতিহ্য।

বিজ্ঞাপন

শুধু খাবার নয়, এক অভিজ্ঞতা

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এই মেলায় শুধু কেনাকাটা নয়, ছিল জানার সুযোগও। অনেক দর্শনার্থী প্রথমবারের মতো আদিবাসী খাদ্যসংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, জেনেছেন পাহাড়ি মানুষের জীবনযাপন আর তাদের খাবারের পেছনের গল্প।

মেলার আয়োজক স্বপ্ননগর আবাসিক প্রজেক্টের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই বিজয় মেলা শেষ হলেও, রেখে গেছে এক আলাদা অনুভূতি। লাল-সবুজের উৎসবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাদ ও সংস্কৃতিকে সামনে আনার এই প্রয়াসকে অনেকেই দেখছেন সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ হিসেবে।

মেলার বাইরে আদিহাট

যারা মেলায় এসে আদিহাটের পণ্য মিস করেছেন বা আবার নিতে চান, তাদের জন্য রয়েছে অনলাইন সুবিধা। আদিহাটের পণ্য পাওয়া যাবে তাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কিংবা সরাসরি ফোন করে।

বিজয় দিবসের এই মেলায় আদিহাট দেখিয়ে দিয়েছে—খাবার শুধু পেট ভরানোর বিষয় নয়, এটি ইতিহাস, পরিচয় আর সংস্কৃতিরও এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর সেই স্বাদ যদি আসে দেশের পাহাড়, গ্রাম আর মানুষের কাছ থেকে, তবে তা হয়ে ওঠে সত্যিই বিশেষ।

ছবি: আদিহাট

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ২২
বিজ্ঞাপন